গত ২১ অক্টোবর বড় ইনজুরিতে পড়ার ৩৬৯ দিন পড় অবশেষে মাঠে ফিরেন ব্রাজিলের সুপারস্টার ফুটবলার নেইমার জুনিয়র। আল হিলালের হয়ে মাঠে অল্প সময় থাকলেও নিজের জাত ঠিকই চেনান। আশা করা হচ্ছিল চলতি মাসের ব্রাজিল স্কোয়াডে দেখা যাবে তাকে। তবে সেলেসাওদের হয়ে ঘোষিত স্কোয়াডে জায়গা হয়নি তার। ভেনেজুয়েলা আর উরুগুয়ের বিপক্ষে স্কোয়াডে জায়গা হয়নি সেলেসাওদের সবচেয়ে বড় তারকার।
এদিকে পুরোপুরি ফিট নেইমার না থাকলেও রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুস জুনিয়র এবং বার্সেলোনা উইঙ্গার রাফিনিয়া ব্রাজিলের এই মাসের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচগুলিতে নেতৃত্ব দেবেন এমনটাই জানিয়েছেন ব্রাজিল কোচ দরিভাল জুনিয়র।
ব্রাজিলের সর্বোচ্চ গোলদাতা নেইমার সম্প্রতি আল-হিলালের হয়ে হাঁটুর চোট কাটিয়ে ফিরেন এবং এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আল-আইনের বিপক্ষে ম্যাচে ২১ মিনিট খেলেন, যেখানে তার দল ৫-৪ গোলে জয় পায়। তবে এখনও তিনি ব্রাজিলের হয়ে খেলতে প্রস্তুত নন।
রাফিনিয়া বার্সেলোনার এই মৌসুমের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় এবং সম্প্রতি রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ৪-০ গোলে জয়ে একটি গোল এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছেন। অন্যদিকে, ভিনিসিয়ুস জুনিয়র গত মাসের ম্যাচে গলা চোটের কারণে খেলতে পারেননি, তবে এবার তিনি দলে ফিরেছেন। তবে তার ক্লাব সতীর্থ এন্দ্রিককে এই দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
দক্ষিণ আমেরিকার পয়েন্ট তালিকায় ব্রাজিল বর্তমানে চতুর্থ স্থানে আছে, তাদের পয়েন্ট ১৬, যা শীর্ষে থাকা আর্জেন্টিনার চেয়ে ৬ কম। ব্রাজিল ১৪ নভেম্বর ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে মাঠে নামবে এবং পাঁচ দিন পর ঘরের মাঠে উরুগুয়ের মুখোমুখি হবে।
কোচ দরিভাল জুনিয়র সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমরা উন্নতির প্রক্রিয়ায় আছি, তবে এখনও পুরোপুরি কাঙ্ক্ষিত অবস্থায় পৌঁছাইনি। ফলাফল নিয়ে বেশি চিন্তা করি না, তবে আশা করি আসন্ন ম্যাচগুলোয় আমরা ভালো করতে পারব।’
ব্রাজিলের স্কোয়াড
গোলকিপার: বেন্তো (আল-নাসর), এডারসন (ম্যানচেস্টার সিটি), ওয়েভারটন (পালমেইরাস)
রক্ষণভাগ: দানিলো (জুভেন্টাস), ভান্ডারসন (মোনাকো), গিলিয়ার্মে আরানা (আতলেতিকো মিনেইরো), আবনের (ওলিম্পিক লিও), এডার মিলিতাও (রিয়াল মাদ্রিদ), গ্যাব্রিয়েল মাগালহেস (আর্সেনাল), মার্কুইনোস (পিএসজি), মুরিলো (নটিংহ্যাম ফরেস্ট)
মিডফিল্ডার: আন্দ্রে (উলভস), আন্দ্রেয়াস পেরেইরা (ফুলহাম), ব্রুনো গুইমারায়েস (নিউক্যাসল), গেরসন (ফ্ল্যামেঙ্গো), লুকাস পাকুয়েতা (ওয়েস্ট হ্যাম), রাফিনিয়া (বার্সেলোনা)
ফরোয়ার্ড: এস্তেভাও (পালমেইরাস), রদ্রিগো এবং ভিনিসিয়াস জুনিয়র (রিয়াল মাদ্রিদ), লুইজ হেনরিক এবং ইগর জেসাস (বোটাফোগো), সাভিনিও (ম্যানচেস্টার সিটি)
মন্তব্য করুন