সোমবার (২৮ অক্টোবর) রাতে প্যারিসের বিখ্যাত থিয়েটার দু’সাতেলেতে অনুষ্ঠিত হবে ২০২৪ সালের ফুটবলের সেরা খেলোয়াড়কে পুরস্কৃত করার আসর ব্যালন ডি’অর। যেখানে ফ্রান্স ফুটবল ম্যাগাজিন গত মৌসুমের সেরা খেলোয়াড়সহ অন্যান্য পুরস্কার তুলে দেবে। এর আগেরবার বিশ্বকাপ জয়ের পর লিওনেল মেসি অষ্টমবারের মতো ব্যালন ডি’অর জিতেছিলেন। তবে এবার ফেভারিট হিসেবে এগিয়ে রয়েছেন ব্রাজিলিয়ান ও রিয়াল মাদ্রিদ তারকা ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও স্পেনের মিডফিল্ডার রদ্রি। কালবেলার পাঠকদের জন্য সোনালি এ বলের ফেভারিটদের সম্পর্কে সংক্ষেপে জানানো হলো-
ভিনিসিয়ুস জুনিয়র
রিয়াল মাদ্রিদ ও ব্রাজিলের এই উইঙ্গার গত মৌসুমে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন, যেটি তাকে ব্যালন ডি’অরের প্রধান দাবিদার বানিয়েছে। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ৩৯ ম্যাচে তিনি করেছেন ২৪ গোল এবং ৯টি অ্যাসিস্ট, আর ব্রাজিলের জার্সিতে ১০ ম্যাচে করেছেন ২ গোল ও ২ অ্যাসিস্ট। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়ালের ১৫তম শিরোপা জয়ে ফাইনালে গুরুত্বপূর্ণ গোলটি ছিল তার। ম্যানচেস্টার সিটি এবং বায়ার্ন মিউনিখের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ও সেমিফাইনালে দুটি করে গোল করেন ভিনিসিয়ুস। গত মৌসুমে তিনি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, লা লিগা এবং স্প্যানিশ সুপার কাপসহ মোট ৩টি ট্রফি জিতেছেন।
দানি কারভাহাল
রিয়াল মাদ্রিদের অধিনায়ক ও স্পেন জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় দানি কারভাহালও প্রতিযোগিতায় রয়েছেন। রিয়ালের হয়ে তিনি ৪১ ম্যাচে ৬টি গোল এবং ৬টি অ্যাসিস্ট করেছেন। তার একটি গোল ছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে। স্পেনের জার্সিতে তিনি ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ জয় করেন এবং তার অনবদ্য পারফরম্যান্স দলের সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। স্পেনের জার্সিতে চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, লা লিগা এবং স্প্যানিশ সুপার কাপও যোগ করেছেন তার কৃতিত্বের তালিকায়।
রদ্রি
মিডফিল্ডার হিসেবে ম্যানচেস্টার সিটি ও স্পেন দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন রদ্রি। ৪৫ ম্যাচে সিটির হয়ে তিনি ৯টি গোল ও ১২টি অ্যাসিস্ট করেছেন। সিটির হয়ে তিনি প্রিমিয়ার লিগ, ইউরোপীয় সুপার কাপ এবং ক্লাব বিশ্বকাপ জিতেছেন। স্পেনের জার্সিতে তিনি ১৪টি ম্যাচে ৩টি গোল করেছেন এবং ১টি অ্যাসিস্ট করেছেন। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ে তার ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
জুড বেলিংহাম
রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার পর থেকে জুড বেলিংহামের গোল করার দক্ষতা সবাইকে চমকে দিয়েছে। গত মৌসুমে তিনি ২৩টি গোল এবং ১৩টি অ্যাসিস্ট করেন, যা তার প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, স্প্যানিশ সুপার কাপ এবং লা লিগা জয়ে অবদান রেখেছিল। ইংল্যান্ডের হয়ে ১২ ম্যাচে ৪টি গোল এবং ৪টি অ্যাসিস্ট করেন। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পৌঁছালেও স্পেনের কাছে হেরে যান। তবুও, তার অসাধারণ মৌসুম তাকে এই পুরস্কারের প্রধান প্রার্থীদের মধ্যে স্থাপন করেছে।
ব্যালন ডি’অর বিজয়ী নির্ধারণের জন্য এই প্রতিযোগীদের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ চলছে এবং রাত একটা ৪৫ মিনিটে জমকালো আসরের মাধ্যমে চূড়ান্ত ফলাফলের জন্য ফুটবলপ্রেমীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
মন্তব্য করুন