মাত্র ১৭ বছর ৩ মাস ১৩ দিন বয়সে লামিন ইয়ামাল ইতিমধ্যেই পেরিয়ে গেছেন ফুটবলের মহাতারকা লিওনেল মেসিকে। এই কথা শুনে যে কারো চোখ কপালে ওঠার কথা। তবে না ভুল কিছু বলা হয়নি মেসি যখন একই বয়সে ছিলেন, তখনও তার নামের পাশে কোনও অফিসিয়াল ম্যাচ ছিল না। মাত্র সাতটি প্রীতি ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন তিনি, যেখানে গোলও ছিল হাতে গোনা। কিন্তু ইয়ামাল বর্তমানে যা করছেন তা সবারই জানা।
লিওনেল মেসি তার প্রথম অফিসিয়াল ম্যাচে নেমেছিলেন ১৬ অক্টোবর, ২০০৪ সালে, এস্পানিওলের বিপক্ষে কাতালান ডার্বিতে, তার বয়স তখন ছিল ১৭ বছর ৩ মাস ২২ দিন। এর আগ পর্যন্ত তিনি বার্সেলোনার প্রথম দলের হয়ে সাতটি প্রীতি ম্যাচ খেলেছিলেন, যেখানে অন্যতম ছিল পোর্তোর বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচ এবং পালামোসের বিপক্ষে গোল করার মুহূর্ত। সাবেক বার্সা ম্যানেজার ফ্রাঙ্ক রাইকার্ড মেসিকে নিয়ে ধীরে ধীরে এগোচ্ছিলেন। মেসির প্রতিভার সঠিক বিকাশ নিশ্চিত করাই ছিল তার লক্ষ্য।
কিন্তু বর্তমান সময়ে তরুণ খেলোয়াড়রা অনেক দ্রুততায় বিকাশ লাভ করছেন। লামিন ইয়ামাল সেই পরিবর্তনের প্রতীক। মাত্র ১৭ বছর বয়সেই তিনি বিশ্ব ফুটবলে পরিচিতি লাভ করেছেন এবং ইউরোপের বড় বড় ক্লাবের নজরে পড়েছেন। এমনকি ছয় মাস আগে তার জন্য এক প্রস্তাবের পরিমাণ ছিল প্রায় ২৫০ মিলিয়ন ইউরো। এই গ্রীষ্মে তিনি ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপও জিতে নিয়েছেন এবং সম্প্রতি এল ক্লাসিকোতে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ম্যাচেও তৃতীয় গোলটি করেছেন।
যেখানে মেসি এই বয়সে প্রথম ম্যাচের অপেক্ষায় ছিলেন, ইয়ামাল সেখানে ৬৪টি অফিসিয়াল ম্যাচ খেলে ফেলেছেন, করেছেন ১২টি গোল এবং ৭টি অ্যাসিস্ট। এই সংখ্যাগুলো মেসির প্রথম দিকের ক্যারিয়ারের তুলনায় অনেক এগিয়ে। সামনে এস্পানিওলের বিপক্ষে ম্যাচ রয়েছে যেখানে ইয়ামাল তার পারফর্ম্যান্সকে আরও উন্নত করার সুযোগ পাবেন।
বয়সের তুলনায় শুরুটা দ্রুত হওয়ায় ইয়ামালের সঙ্গে মেসির তুলনা খুব শিগগিরই অর্থবহ হয়ে উঠতে পারে। তার এই পারফর্ম্যান্স অব্যাহত থাকলে, মেসির বহু রেকর্ডই হয়তো ভেঙে ফেলবেন তিনি। তবে মেসির ঐতিহাসিক ৬৭২ গোলের রেকর্ড স্পর্শ করা ইয়ামালের জন্যও কঠিন চ্যালেঞ্জ হতে পারে। কিন্তু যদি সেই মাইলফলকের দিকে কেউ এগিয়ে থাকে, তবে নিঃসন্দেহে সেই খেলোয়াড় লামিন ইয়ামাল।
মন্তব্য করুন