কাঠমান্ডুতে রোববার (২০ অক্টোবর) পাকিস্তানের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শেষ মুহূর্তের গোলে ১-১ ড্র করে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে যাওয়ার আশা বাঁচিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ। ম্যাচের নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে ১-০ গোলে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশ যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটেই সমতা ফেরায় শামসুন্নাহার জুনিয়রের হেডে। এই ড্রয়ে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায়ের শঙ্কা কাটিয়ে বাঁচল বাংলাদেশ।
আগামী ২৩ অক্টোবর ভারতের বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচে ড্র করলেই সেমিফাইনালে পা রাখবে বাংলাদেশ। এমনকি ২ গোলের বেশি ব্যবধানে না হারলেও সেমিফাইনালে ওঠা সম্ভব। ভারতের কাছে পাকিস্তানের ৫-২ গোলের হার বাংলাদেশের জন্য সামান্য সুবিধাজনক পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
মাঠে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা শারীরিকভাবে এগিয়ে ছিল এবং যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে বেড়ে ওঠা ছয় খেলোয়াড়ের উপস্থিতি পাকিস্তানকে শক্তিশালী করেছিল। প্রথমার্ধের ৩২ মিনিটে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী পাকিস্তানি ফরোয়ার্ড জাহমিনা সামিন মালিকের গোলে পাকিস্তান এগিয়ে যায়। বাংলাদেশ রক্ষণের ভুলে গোলের সুযোগ পেয়ে তা কাজে লাগায় পাকিস্তান।
গোলের পর পাকিস্তান দল রক্ষণভাগকে শক্তিশালী করে বাংলাদেশের প্রতিটি আক্রমণ ঠেকানোর চেষ্টা করে। পাঁচজন ডিফেন্ডারসহ পুরো দলই নিচে নেমে রক্ষণ সামলায়। গোলকিপার নিশা আশরাফ ও অধিনায়ক মারিয়া খান বিশেষভাবে দলের রক্ষণে অবদান রাখেন। তবে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের চাপে তারা টিকে থাকতে পারেনি। ম্যাচের ৯১ মিনিটে ঋতুপর্ণা চাকমার ক্রসে শামসুন্নাহার জুনিয়র হেড করে সমতা আনেন।
বাংলাদেশের কোচ পিটার বাটলার দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন করেন। ৬৯ মিনিটে অধিনায়ক সাবিনাকে তুলে কৃষ্ণা রানীকে মাঠে নামান, এরপর তহুরা খাতুন ও মনিকা চাকমার বদলে নামেন সাগরিকা ও মারিয়া। পুরো ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে দারুণ খেলেছেন মনিকা চাকমা এবং তিনিই ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন। বাংলাদেশ প্রথমার্ধে একাধিক সুযোগ তৈরি করলেও সেগুলো কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়।
গত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে পাকিস্তানকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিলেও এবার তাদের বিপক্ষে ড্র করে সন্তুষ্ট থাকতে হলো বাংলাদেশকে। তবে সেমিফাইনালে ওঠার স্বপ্ন এখনো বেঁচে আছে। ম্যাচটি দিয়ে সাফে অভিষেক হলো আফঈদা খন্দকার ও কোহাতি কিসকুর। তাদের অভিষেকের দিনে জয় না এলেও শেষ মুহূর্তের গোলে স্বস্তি পেয়েছে বাংলাদেশ দল।
মন্তব্য করুন