বসুন্ধরা কিংসকে দেশের সবচেয়ে ‘স্বয়ংসম্পূর্ণ ক্লাব’ বলা হয়। নিজস্ব একাডেমি না থাকার পরও এটা বলার কারণ হচ্ছে—অন্য ক্লাবগুলোর তুলনায় এগিয়ে হালের পরাশক্তিরা। নিজস্ব একাডেমি গড়ার দিক থেকেও দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে যাচ্ছে বসুন্ধরা কিংস।
৪ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে বসুন্ধরা কিংস একাডেমির কার্যক্রম। শুরু হচ্ছে ৬ বছরের বয়সীদের দিয়ে। ৬ থেকে ১১ বছর বয়স ক্যাটাগরিতে ছেলেমেয়েদের কার্যক্রম থাকছে। ১১ থেকে ১৫ এবং ১৫ থেকে ১৮ বয়স ক্যাটাগরির কার্যক্রম চলবে ছেলেদের নিয়ে।
সপ্তাহে তিন দিন অনুশীলন চলবে। অনুশীলন কার্যক্রম পরিচালনা করবেন স্থানীয় কোচেস প্যানেলের সদস্যরা। ট্রেনিং কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করার পাশাপাশি বসুন্ধরা কিংসের প্রধান কোচ রোমানিয়ান ভালেরিও তিতাও একাডেমি খেলোয়াড়দের অনুশীলন করাবেন।
‘আজকের ফুটবল, আগামীর ক্যারিয়ার’— শিরোনামে পোস্টার ভাসছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, যেখানে বিভিন্ন বয়স ক্যাটাগরির অনুশীলনের বর্ণনা দেওয়া আছে। শুরু হতে যাওয়া বসুন্ধরা কিংস একাডেমি সম্পর্কে খানিক ধারণা পাওয়া যাবে ওই পোস্টার দেখলে।
‘৬, ৭, ৮, ৯ ও ১০ বছর হচ্ছে শিশুদের শেখার সময়। এ সময়ের মধ্যে একজন শিশুকে আপনি যেভাবে গড়তে চান, সেভাবেই সে বেড়ে উঠবে। ১০-১২ বছর বয়সের পর কিন্তু তাদের শেখার সে পর্যায়টা থাকে না। বাচ্চা বয়স থেকে শুরু করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটা বাচ্চা দক্ষ হয়ে যাবে। তখন তাকে দিয়ে আপনি সব কৌশলই প্রয়োগ করতে পারবেন’—বসুন্ধরা কিংসের একাডেমি শুরুর প্রসঙ্গে বলছিলেন ক্লাবটির টেকনিক্যাল ডিরেক্টর বায়োজিদ আলম জোবায়ের নিপু।
বিভিন্ন বয়স ক্যাটাগরির একাডেমির জন্য আলাদা গ্রাউন্ড তৈরি করা হয়েছে, যেখানে বাচ্চাদের অনুশীলন করানোর জন্য কোচ এবং অন্য টেকনিক্যাল স্টাফদের আলাদা গ্রুপও থাকবে। একাডেমি কার্যক্রমে যুক্ত হতে আগ্রহীদের ফরম সংগ্রহ করে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জমা দিতে হবে। সীমিত আসন সংখ্যা নিয়ে শুরু হচ্ছে এ কার্যক্রম। ভবিষ্যতে ক্রিকেট কোচিং স্কুল শুরুর পরিকল্পনা আছে ক্লাবটির।
শুরু হতে যাওয়া একাডেমি সম্পর্কে বসুন্ধরা কিংসের প্রধান কোচ ভালেরিও তিতা বলছিলেন, ‘এটা বাংলাদেশের জন্য ভালো সুযোগ তৈরি করতে যাচ্ছে, এখানকার ফুটবলের জন্য বিষয়টা দারুণ হতে যাচ্ছে। ফ্রান্স, স্পেন ও ইংল্যান্ডে অনেক একাডেমি রয়েছে। স্পেন ও ইংল্যান্ডে ১৭, ১৮ ও ১৯ বছর বয়সী প্রচুর প্রতিভাবান ফুটবলার রয়েছে। তাদের এ ফুটবলাররা কিন্তু একাডেমি দিয়েই উঠে আসছে।’
২০১৮ সালে ঘরোয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ পর্যায়ে যাত্রা শুরু করেছিল বসুন্ধরা কিংস। যাত্রা শুরুর আগে ক্লাবটির প্রেসিডেন্ট ইমরুল হাসান এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘একাডেমি থেকে উঠে আসা ফুটবলারদের নিয়ে ঘরোয়া ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা আমার স্বপ্ন।’
সে স্বপ্ন ও বাস্তবতার মধ্যে ব্যবধান ঘোচাতে যাত্রা শুরু হচ্ছে বসুন্ধরা কিংস ফুটবল একাডেমির।
মন্তব্য করুন