অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে প্রিয় ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। স্প্যানিশ লা লিগায় তিন ম্যাচে গোল না পেলেও পরপর দুটি গোল করেন তিনি।
আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে রিয়াল সতীর্থদের সঙ্গে জমে উঠেছে তার রসায়ন। তবে তার এক সময়ের সতীর্থ নেইমার, ব্রাজিল জাতীয় দলের সতীর্থদের সতর্ক করেছেন। বলেছেন, এমবাপ্পের সঙ্গে খেলা অনেকটা নরকযন্ত্রণা ভোগ করার মতো।
২০১৭ সালে দলবদলের রেকর্ড গড়ে বার্সেলোনা থেকে পিএসজিতে যোগ দেন নেইমার। ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম দুই তারকার বন্ধুত্বটা শুরুতে বেশ ভালোই ছিল। তবে তারকা খ্যাতি, ব্যক্তিত্ব আর স্বার্থের সংঘাতে দুজনের সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
দুজনের বৈরী সম্পর্কের প্রভাব পড়ে ফরাসি ক্লাবটির ড্রেসিংরুমেও। দলের কোচ এবং ক্লাব কর্তৃপক্ষ দুজনকে সামলাতে পারেননি। এমনকি লিওনেল মেসিও দূর করতে পারেননি এ দুজনের দ্বন্দ্ব।
পরে আলাদা হয়ে যান দুজন। নেইমার যোগ দেন সৌদি ক্লাব আল হিলালে আর রিয়ালে আসেন এমবাপ্পে। ব্রাজিল জাতীয় দলের চার সতীর্থ ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, এদের মিলিতাও, রদ্রিগো ও এনদ্রিক ফিলিপেও খেলছেন রিয়ালে।
স্প্যানিশ জায়ান্টদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার পর ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারদের কাছে তার উষ্ণ সম্পর্কের খবরটি সামনে এসেছে। বিশেষ করে প্রকাশ্যে এসেছে ভিনিসিয়ুসের সঙ্গে এমবাপ্পের সুসম্পর্কের বিষয়টি।
নিজে পেনাল্টি শট না নিয়ে এমবাপ্পেকে নেওয়ার সুযোগ করে দেন ভিনি। একসঙ্গে গোল উদ্যাপন করতে দেখা যায় তাদের। তবে এমবাপ্পের ব্যাপারে ব্রাজিলিয়ান সতীর্থদের সতর্কবার্তা পাঠিয়েছেন নেইমার।
ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারদের প্রতি নেইমারের সতর্কবার্তার বিষয়টি সামনে এনেছেন ফরাসি সাংবাদিক ও টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব সাইরিল হানুনা। ২০১৭ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত পিএসজির জার্সিতে ১৩৬ ম্যাচ খেলেছেন দুজন।
লম্বা সময়ের সতীর্থকে নিয়ে ব্রাজিলিয়ান জাতীয় দলের ফুটবলারদের বার্তা দিয়েছেন নেইমার। ইউরোপ ওয়ান নামের এক পডকাস্টে সাইরিল হানুনা বলেন, ‘রিয়ালে খেলা সেই ব্রাজিলিয়ানরা নেইমারের বন্ধু। আর নেইমার ও এমবাপ্পের মধ্যে যুদ্ধটা সব সময় বিরাজমান ছিল। সে পরিপ্রেক্ষিতে নেইমার ব্রাজিলিয়ান বন্ধুদের একটি বার্তা পাঠান। যেখানে তিনি তাদের বলেন, এমবাপ্পের সঙ্গে খেলাটা বিপর্যয়কর। এটা অনেকটা নরকযন্ত্রণার মতো।’
বর্তমানে নেইমার-এমবাপ্পে দুই ভুবনের বাসিন্দা। চোটের কারণে দীর্ঘদিন ধরে মাঠের বাইরে আল হিলাল তারকা নেইমার। অন্য দিকে রিয়ালে যোগ দেওয়ার পর স্প্যানিশ লা লিগায় প্রথম তিন ম্যাচে গোল পাননি এমবাপ্পে। তবে পরের দুই ম্যাচে দুই গোল করেছেন ফরাসি তারকা।
মন্তব্য করুন