২০২৪ সালের ব্যালন ডিঅর মনোনয়ন থেকে লিওনেল মেসির বাদ পড়া ফুটবল বিশ্বের মধ্যে এক ধরনের বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে। বয়স সত্ত্বেও আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি এখনো একজন শীর্ষস্থানীয় খেলোয়াড়, যার কারণে তার বাদ পড়াটা ফুটবল ভক্তদের কাছে অযৌক্তিক বলে মনে হচ্ছে।
২০০৩ সালের পর প্রথমবারের মতো মেসি এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর কেউই ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ব্যক্তিগত পুরস্কারের জন্য মনোনীত হননি। কিন্তু রোনালদোর সৌদি আরবে যাওয়ার পর তার ফর্মের পতন তাকে বাদ দেওয়ার যৌক্তিক কারণ বলে মনে হলেও, মেসির ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আলাদা।
৩৭ বছর বয়সী মেসি এখনো ইন্টার মিয়ামি এবং আর্জেন্টিনার হয়ে অসাধারণ পারফরম্যান্স করে চলেছেন। ২০২৪ সালেই মেসি আর্জেন্টিনাকে আরও একটি কোপা আমেরিকা শিরোপা জিততে সাহায্য করেন এবং মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) ২৯ খেলায় ২৫টি গোল করে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করেছেন।
এ কারণে মেসির বাদ পড়ার মূল কারণ বলে মনে করা হচ্ছে তার এমএলএসে যাওয়া। তার অপ্রতিরোধ্য দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও ইউরোপের শীর্ষ পাঁচটি লিগের তুলনায় এমএলএসের নিম্নমানের ধারণা ব্যালন ডিঅর ভোটারদের চোখে তাকে শাস্তি দিয়েছে।
ঐতিহাসিকভাবে এই পুরস্কার ইউরোপের খেলোয়াড়দের পক্ষপাত করে আসছে, যদিও মেসি ইন্টার মিয়ামিতে যাওয়ার পর ২০২৩ সালে প্রথমবার ইউরোপের বাইরে থেকে এ পুরস্কার জিতেছিলেন, তবে সেটি তার কাতারে বিশ্বকাপ জয়ের কারণে ছিল।
সমালোচকরা মনে করেন, মেসির বাদ পড়া ব্যালন ডিঅরের ইউরোপীয় পক্ষপাতকে তুলে ধরে। এমএলএসের উন্নতি সত্ত্বেও ইউরোপের বাইরের খেলোয়াড়রা এখনো উপেক্ষিত হচ্ছে এবং মেসির বাদ পড়া এ ধারণাকে আরও শক্তিশালী করে যে, কম পরিচিত লিগে ব্যক্তিগত প্রতিভা মনোনয়নের জন্য যথেষ্ট নয়।
তবে মেসি এই বাদ পড়া নিয়ে তেমন বিচলিত নন। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, তার ফোকাস দলীয় সাফল্যের উপর, ব্যক্তিগত পুরস্কারের উপর নয়। ক্যারিয়ারে সব কিছু অর্জন করার পর বিশেষ করে বিশ্বকাপের গৌরব, তিনি সন্তুষ্ট রয়েছেন। তবুও মেসির পারফরম্যান্স, এমনকি ইউরোপের বাইরে থেকেও প্রমাণ করে যে তিনি এখনও বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের একজন। তার প্রতিভা যেখানেই হোক, সেটি স্বীকৃতি পাওয়া উচিত এবং তার বাদ পড়া ব্যালন ডিঅরের ইউরোপীয় পক্ষপাতের কথা মনে করিয়ে দেয়।
মন্তব্য করুন