বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে প্রথমবারের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক স্থাপন হলো। দেশের ক্রিকেট এবং ফুটবল দলকে অভিনন্দন জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আলাদা আলাদা অভিনন্দন প্রস্তাব গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে। এই অভিনন্দন প্রস্তাবের গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে সরকারের তরফ থেকে দল ও ক্রীড়াবিদদের প্রতি আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি ও উৎসাহ প্রকাশ করার ইতিহাস সৃষ্টি হলো।
অভিনন্দন পাওয়া এই দুটি দল হলো, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল এবং সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়ন যুব ফুটবল দল। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ক্রিকেট দল সম্প্রতি রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্টে পাকিস্তানকে ১০ উইকেটে পরাজিত করে এক অভূতপূর্ব জয়লাভ করে। এ জয়ের মাধ্যমে তারা ইতিহাসের অংশ হয়ে ওঠে।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের যুব ফুটবল দল গত ২৮ আগস্ট নেপালে অনুষ্ঠিত সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে স্বাগতিক নেপালকে ৪-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা জয় করে দেশের জন্য গৌরব বয়ে আনে।
অভিনন্দন প্রস্তাবের এই গেজেট প্রকাশের বিষয়টি উঠে আসে গত ২৯ আগস্ট অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের এক বিশেষ সভায়। সেখানে দল দুটির এই অসাধারণ সাফল্যকে স্বীকৃতি জানিয়ে তাদের অভিনন্দন জানানো হয়। পরে, গত রোববার (১ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পক্ষ থেকে এই অভিনন্দনকে গেজেটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যা দেশের ক্রীড়া ইতিহাসে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করল।
উল্লেখ্য বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের ইতিহাসে এটি প্রথম এবং এরকম কোন নজির আর নেই।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই দেশকে নতুনভাবে গঠনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্রীড়া উন্নয়নের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে। ক্রীড়া দলকে গেজেটের মাধ্যমে অভিনন্দন জানানো সেই গুরুত্বেরই প্রতিফলন। এটি শুধু একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং দেশের ক্রীড়া উন্নয়নে ভবিষ্যৎ নীতিমালা তৈরিতে একটি দিকনির্দেশনা হিসেবে কাজ করবে।
এই গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকার ক্রীড়াবিদদের মানসিকভাবে উজ্জীবিত করার পাশাপাশি তাদের সাফল্যকে মূল্যায়নের বার্তাও দিয়েছে। এর মাধ্যমে ক্রীড়াবিদদের প্রতি জাতির সম্মান ও শ্রদ্ধার প্রতিফলন ঘটেছে, যা ভবিষ্যতে ক্রীড়াক্ষেত্রে আরও বড় সাফল্যের পথ উন্মুক্ত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন