স্বপ্নের ক্লাবের জার্সিতে দুর্দান্ত অভিষেক। উয়েফা সুপার কাপে আতালান্তার বিপক্ষেই রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে প্রথম ম্যাচে গোল পেয়ে যান কিলিয়ান এমবাপ্পে। শিরোপা উৎসবও করে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। তবে স্প্যানিশ লা লিগায় টানা তিন ম্যাচে গোলহীন ফরাসি তারকা। তার ওপর পয়েন্ট টেবিলের লস ব্লাঙ্কোসদের অবস্থাও খারাপ। রিয়াল বেতিসের বিপক্ষে নামার আগে তিন ম্যাচে এক জয়ে পয়েন্ট টেবিলের পঞ্চমে ছিল কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা।
একে একে সমালোচনার তীর ছুটতে থাকে তার দিকে। তখনই জ্বলে উঠলেন তিনি। লা লিগায় চতুর্থ ম্যাচে এসে পেলেন গোলের দেখা। ফরাসি তারকার জোড়া গোলে বেতিসকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
ম্যাচ শেষে এমবাপ্পে বলেন, ‘আমার মধ্যে যে চাপ ছিল, সেটা ছিল দলের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার। আমি সারা জীবনই গোল করেছি, ভবিষ্যতেও করব। গোল আসবেই। টানা তিন ম্যাচে গোল না পাওয়াটা আমার জন্য বড় ব্যাপারই ছিল। কিন্তু এমনটা হতেই পারে। আমার ওপর সতীর্থদের আত্মবিশ্বাস আছে।’
উয়েফা সুপার কাপে আতালান্তার বিপক্ষে গোল পেলেও স্পেনের লিগে মায়োর্কা, রিয়াল ভায়াদোলিদ ও লাস পালমাসের বিপক্ষে এমবাপ্পে ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। ফুটবল বিশ্লেষকদের অনেকে মতে, নতুন ক্লাবে যোগ দেওয়ার চাপ প্রভাব ফেলেছে তার পারফরম্যান্সে।
ঘরের মাঠে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রিয়াল বেতিসের বিপক্ষে ম্যাচের ৬৭ মিনিটে ফেদেরিকো ভালভের্দের পাস থেকে প্রথম গোল পান এমবাপ্পে। এর ৮ মিনিট পর পেয়ে যান জোড়া গোল। ম্যাচের পর গণমাধ্যমের মুখোমুখি হলে চাপবিষয়ক প্রশ্নের জবাব দিতে হয় তাকে।
এর জবাবে এমবাপ্পে বলেন, ‘কোনো চাপ নেই। এটাই ফুটবল। আমার সামর্থ্য আছে। আমি এখানে কিলিয়ান হতে এসেছি। কোনো চাপ নেই। আমি আনন্দিত। আমি কাজ করতে চাই।’
বেতিসের জালে সর্বমোট ৯টি শট নেন তিনি। এরপরও গোল পাওয়া হচ্ছিল না তার। ঘরের মাঠে দর্শকদের সামনে প্রথম গোলের পর উল্লাস মাতেন তিনি। এ প্রসঙ্গে ফরাসি তারকা বলেন, ‘এটা দুর্দান্ত মুহূর্ত ছিল। ঐতিহাসিক এই স্টেডিয়ামে আমি গোলের অপেক্ষায় ছিলাম। সমর্থকরা আমাকে দারুণ সহায়তা করেছে। এমনকি যখন গোল করিনি, তখনো।’
এ জয়ে লা লিগার ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয়তে উঠে এসেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে বার্সেলোনা।
মন্তব্য করুন