কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালের পর অবনতি হয় লিওনেল মেসি ও কিলিয়ান এমবাপ্পের সম্পর্ক। একই ক্লাব পিএসজিতে খেললেও দুজনের বৈরি সম্পর্ক চলছিল। কাজে অনেকটা বাধ্য হয়ে ফরাসি ক্লাব ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান মেসি।
এক বছর পর এমবাপ্পেও ছাড়েন পিএসজি। যোগ দেন স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার একটি পোস্ট তোলপাড় ফেলে দিয়েছে। ফরাসি অধিনায়কের এক্সের (সাবেক টুইটার) অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট থেকে মেসিকে অপমান করাসহ বেশি কিছু বিতর্কিত পোস্ট করা হয়।
পরামর্শ দেওয়া হয় বিতর্কিত ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারে। এ ছাড়া ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি ও টটেনহামকে নিয়ে করা হয় বিরূপ মন্তব্য। আর ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে বলা হয় সর্বকালের সেরা ফুটবলার।
স্প্যানিশ সময় গভীর রাতে পোস্ট গুলো করা হয়। আর এমবাপ্পেই বা এ পোস্টগুলো কেন করবেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে। পরে জানা যায় আসল রহস্য। হ্যাকারদের দখলে ছিল ফরাসি তারকার অফিসিয়াল একাউন্ট। তবে ততক্ষণে ঝড়ে উঠে ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজারে।
হ্যাকাররা প্রথমে নতুন এক ক্রিপ্টোকারেন্সির টোকেন নিয়ে টুইট করে। আর সেই টোকেনের নাম এমবাপ্পে হওয়ায়, সন্দেহ হয়নি কারও। কারণ অনেকে ভেবেছেন আগের দিন নিজের নামে টোকেন প্রচারে নেমেছেন এমবাপ্পে। ফলে দ্রুত দাম বেড়ে যায় সেই টোকেনের।
আর যখন জানা যায় এমবাপ্পের অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে, তখনই শূন্যতে নেমে আসে সেই টোকেনের দাম। যদিও এর মধ্যে লাভবান হয় এর ব্যবহারকারীরা। এদের মধ্যে একজন জানান তিনি দুই সোলানা (ক্রিপ্টোকারেন্সি) মূল্যের এমবাপ্পে টোকেন কিনে, এক হাজার ৩৯৮ সোলানায় বিক্রি করেছেন। ফলে তার নাকি অল্প সময়ের মধ্যে দেড় লাখ ডলারেরও বেশি লাভ হয়েছে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি ছাড়াও ফুটবলের অন্যতম বিতর্ককে আবারও উসকে দেয় হ্যাকার। এর আগে এমবাপ্পে বেশ কয়েকবার জানিয়েছেন তার প্রিয় ফুটবলার রোনালদো। ফুটবল মাঠে মেসি-রোনালদোর দ্বন্দের কথা সবার জানা।
এ সুযোগে হ্যাকার এমবাপ্পের অ্যাকাউন্ট থেকে মেসির কান্নার ছবি পোস্ট করে। একই সঙ্গে ক্যাপশনে লিখে, ‘ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়। এই বামন (আমার) সর্বকালের সেরা না।’
মুহূর্তের ভাইরাল হয় সেই পোস্ট। মেসিকে নিয়ে এমবাপ্পের এমন মন্তব্যে ঝড় ওঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এ ছাড়া ম্যানচেস্টারের দুই ক্লাব ইউনাইটেড নাকি সিটি সেরা, এই প্রশ্নের উত্তরে হ্যাকার এমবাপ্পের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে লিখে, ‘ম্যানচেস্টারের রং লাল।’ এ ছাড়া আরেক ইংলিশ ক্লাব টটেনহামকে বলা হয় ‘ফালতু।’
যদিও পরে অ্যাকাউন্টটি হ্যাকারের কবল থেকে উদ্ধার করে পোস্ট গুলো মুছে দেওয়া হয়। তবে ততক্ষণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে পোস্ট গুলো।
মন্তব্য করুন