সুইডেনের বিখ্যাত ফুটবল ম্যানেজার ও ইংল্যান্ড পুরুষ জাতীয় দলের প্রথম বিদেশি কোচ সভেন-গোরান এরিকসন ৭৬ বছর বয়সে মারা গেছেন। সোমবার (২৬ আগস্ট) তার পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এরিকসনের প্রাক্তন এজেন্ট বো গুস্তাভসন তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মরণব্যাধি ক্যানসারে ভুগছিলেন।
এরিকসন তার দীর্ঘ ম্যানেজেরিয়াল ক্যারিয়ারে সুইডেন, পর্তুগাল ও ইতালিতে কাজ করে ১৮টি ট্রফি জিতেছেন। তার উল্লেখযোগ্য সাফল্যের মধ্যে রয়েছে ১৯৮২ সালে প্রথমবারের মতো কোনো সুইডিশ ক্লাবকে (আইএফকে গটেবোর্গ) উয়েফা শিরোপা জেতানো। তিনি বেনফিকার সঙ্গে দুইবার পর্তুগিজ লিগ শিরোপা এবং ২০০০ সালে লাজিওর সঙ্গে সিরি‘আ’ জিতেন।
ক্লাব ফুটবলে সাফল্যের পর এরিকসন ২০০১ সালে ইংল্যান্ড জাতীয় দলের ম্যানেজার নিযুক্ত হন। সেটি ছিল একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ, কারণ তিনি প্রথম নন-ব্রিটিশ কোচ ছিলেন যিনি ইংল্যান্ড দলকে কোচিং করানোর দায়িত্ব পান। তার অধীনে ইংল্যান্ড ২০০২ বিশ্বকাপের জন্য যোগ্যতা অর্জন করে। তার অধীনে ইংল্যান্ডের সবচেয়ে স্মরণীয় জয় হয়ে আছে জার্মানিকে ৫-১ গোলে পরাজিত করার ঐতিহাসিক ম্যাচটি। তবে, প্রধান টুর্নামেন্টগুলোতে ইংল্যান্ড কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বাদ পড়ার কারণে তার মেয়াদকালটি কিছুটা হতাশাজনক ছিল। ২০০২ এবং ২০০৬ সালের বিশ্বকাপ এবং ইউরো ২০০৪-এর তিনটি টুর্নামেন্টেই ইংল্যান্ড কোয়ার্টার ফাইনালে পরাজিত হয়।
তারপরও, এরিকসনের সময়কাল ইংল্যান্ডের ভক্তদের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে, বিশেষ করে তার আক্রমণাত্মক ফুটবলের জন্য এবং দলের নতুন প্রাণসঞ্চারের জন্য।
২০০৬ বিশ্বকাপের পর ইংল্যান্ডের দায়িত্ব ছাড়ার পর এরিকসন ম্যানচেস্টার সিটি, মেক্সিকো, আইভরি কোস্ট এবং চীনের বিভিন্ন ক্লাবে কোচিং করিয়েছেন। তার শেষ ম্যানেজেরিয়াল পদ ছিল ২০১৮ সালে, যখন তিনি ফিলিপাইনের জাতীয় দলকে পরিচালনা করেন।
এই বছরের শুরুর দিকে একটি দাতব্য ম্যাচে লিভারপুলের কিংবদন্তিদের সঙ্গে তাকে শেষবারের মতো ডাগআউটে দেখা যায়, যেখানে তার দল আয়াক্সের বিপক্ষে জয়লাভ করে।
আগামী সেপ্টেম্বরে ফিনল্যান্ডের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের ম্যাচে এরিকসনের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে।
মন্তব্য করুন