বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে নিষিদ্ধ হয়েছে সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ। আর্থিক জরিমানা হয়েছে সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীসহ একাধিক কর্মকর্তা।
এবার বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণের বিরুদ্ধে সরাসরি চুরির অভিযোগ করেছেন সাবেক-বর্তমান অনেক নারী ফুটবলার। একই অভিযোগ তোলা হয় বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধেও।
শনিবার (১৭ আগস্ট) মতিঝিলের বাফুফে ভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে সাবেক/বর্তমান বাংলাদেশ মহিলা ফুটবল খেলোয়াড়-কর্মকর্তারা। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন ও কিরণের পদত্যাগের দাবিতে হওয়া বিক্ষোভে সাবেক অধিনায়ক ডালিয়া আক্তার বলেন, ‘তারা বাফুফেতে একনায়কতন্ত্র কায়েম করেছে। পদ আঁকড়ে ধরে আছে। অবিলম্বে তাদের বিদায় নিতে হবে। এবার সময় এসেছে, যোগ্যদের সুযোগ দিতে হবে।’
এ সময় কিরণের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেন ডালিয়া, ‘জাতীয় নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক থাকার পরও আমাকে নারী ফুটবলের কোথাও রাখা হয়নি। তারা সব কুক্ষিগত করে রেখেছে। আপনি (মাহফুজা আক্তার) চুরি ছাড়া আর কিছু করেননি। আপনি ভালোবাসেন আপনার চেয়ার। অলিম্পিক বাছাই খেলতে পাঠানো হয়নি আমাদের মেয়েদের। কত টাকা মেরে খেয়েছেন? এবার পদ থেকে সরে যান।’
নারী ফুটবলের সংগঠক ও কিংবদন্তি খেলোয়াড় কামরুন নাহার ডানা বলেন, ‘ফুটবল ফেডারেশন যেন সালাহউদ্দিন-কিরণের ফেডারেশন। উনি (সালাহউদ্দিন) নিজের স্বার্থ ছাড়া কোনো কাজ করেননি। বাফুফেতে রাজনৈতিকীকরণ হয়েছে। দুর্নীতি হয়েছে। বাফুফের নির্বাচনে যারা কাউন্সিলর হয়েছে, তারা আজ পালিয়ে বেড়াচ্ছে। যারা পালিয়ে বেড়ায়, তারা যেন ক্রীড়াঙ্গনে না আসে। আমরা ফুটবলের বৃহত্তর স্বার্থে পরিবর্তন চাই। আমরা আশা করব, বাফুফেকে ঢেলে সাজানো হবে।’
মন্তব্য করুন