ফিফা বিশ্বকাপের পর ফুটবলে সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট কোপা আমেরিকা ও ইউরো। এ জায়গাটায় কারও দ্বিমত থাকার কথা নয়। তবে ক্লাব ফুটবলের মারপ্যাচ যদি এখানে আনা হয় তাহলে হিসেবটা পাল্টে যেতেই পারে।
ইউরো ও কোপার চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় ফিনালেসিমা। যার বর্তমান মুকুটটা পরে আছে কোপার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ও বিশ্বজয়ী আর্জেন্টিনা।
এবারের ইউরোতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে স্পেন। ১২ বছর পর ইউরোপের সেরার মুকুট পরেছে স্প্যানিশরা। এবার নিয়ে মোট চারবার ইউরোর চ্যাম্পিয়ন হলো তারা, যা এ টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ। অন্যদিকে আর্জেন্টিনা এককভাবে সর্বোচ্চ ১৬ বার ঘরে তুলেছে কোপার শিরোপা।
এ দুই টুর্নামেন্টের পরই ভক্তদের মনে প্রশ্ন জেগেছে কবে হবে আর্জেন্টিনা-স্পেনের ফিনালেসিমা। অবশ্য এ আগ্রহের কারণটাও অনেক মজার। মহাদেশীয় দুই টুর্নামেন্ট চলাকালে আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসির আর স্পেনের তরুণ ফুটবলার লামিনে ইয়ামালের বেশকিছু ছবি ভাইরাল হয়।
ছবিগুলোর একটিতে দেখা যায় ছোট্ট শিশু ইয়ামালকে গোসল করিয়ে দিচ্ছেন মেসি। পাশেই ইয়ামালের মা। সে থেকে এ দুজনকে একে অপরের বিপক্ষে দেখার আগ্রহ জাগে ফুটবল ভক্তদের।
সে ছবি ভাইরালের পরই ইয়ামাল জিতলেন তার প্রথম আন্তর্জাতিক ট্রফি। যেখানে স্পেনের হয়ে দারুণ ভূমিকাও ছিল এ কিশোরের। স্পেন-আর্জেন্টিনা দুই মহাদেশের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করায়, তৈরি হয় মেসি-ইয়ামালকে একে অপরের প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখার।
সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৫ সালেই দেখা যাবে এ দুজনের ফিনালেসিমার মাঠের লড়াই। সম্প্রতি কোথায় হবে ফিনালেসিমা তা নিয়ে শঙ্কা ছিল অনেকের। তবে আর্জেন্টিনার সাংবাদিক গেস্টুন এদুলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সে শঙ্কা দূর হওয়ার কথা।
তিনি জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র কিংবা স্পেনেই হতে পারে এ ফিনালেসিমা। তবে আর্জেন্টিনা চাইছে ম্যাচটি যাতে বুয়েন্স আয়ার্সের স্তাদিও এল মুনমেন্তালে হয়। এর আগে ২০২২ সালে লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে হয় ফিনালেসিমার শেষ লড়াই।
যেখানে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ ছিল সাবেক ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালি। সে ম্যাচে অবশ্য আর্জেন্টিনাই জয় পায়। ইতালিকে ৩-০ গোলে হারায় মেসি-ডি মারিয়ারা। যেটা ছিল ফিনালেসিমায় আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় শিরোপা।
মন্তব্য করুন