দুর্দান্ত একটা ম্যাচ দেখল সারা বিশ্ব। স্পেনের বিপক্ষে প্যারিস অলিম্পিকের স্বাগতিক ফ্রান্স। দুদলই সোনা জেতার লড়াইয়ে ছিল সমান ফেবারিট। তবে নিজেদের মাঠে খেলাটা থাকায় এই ম্যাচে অনেকটা এগিয়েই ছিল ফরাসিরা। তবে হারটা তাদেরই দেখতে হলো।
অলিম্পিক ফুটবলের ফাইনালে ৫-৩ গোলে ফ্রান্সকে হারিয়ে স্পেন জিতে নিল সোনা। ৩২ বছর পর ফুটবল ইভেন্টে অলিম্পিকে নিজেদের সোনার রঙে রাঙাল স্পেনের যুবারা।
যদিও প্রথমার্ধে ফ্রান্সকে ম্যাচে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ৪৫ মিনিটের মধ্যেই তিন গোল হজম করে স্বাগতিকরা। যদিও ফরাসি ক্লাব পিএসজির মাঠ পার্ক দে প্রিন্সেসে ম্যাচের মাত্র ১১ মিনিটেই গোল করে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। তবে ম্যাচ গুছিয়ে নিতে তেমন একটা সময় লাগেনি স্পেনের। ম্যাচের ১৮ মিনিটে ফারমিন লোপেজ গোল করে দলকে সমতায় ফেরান।
ম্যাচের ২৫ মিনিটে নিজের জোড়া গোল পূরণ করেন লোপেজ। দ্বিতীয় গোলের রেশ কাটটে না কাটটেই ২৮ মিনিটে ফ্রান্সের জালে আরেক গোল। ফ্রি–কিক থেকে চোখ ধাঁধানো শটের মাধ্যমে তিন নম্বর গোলটি করেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার আলেক্স বায়েনা। ৩-১ গোলের মলিড নিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করে স্পেন।
ফাইনাল ম্যাচের আসল মজা দেখতে পাওয়া যায় দ্বিতীয়ার্ধ্বে। দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ায় ফ্রান্স। যেটা ছিল অকল্পনীয়। লিড নেয়া স্পেনকে একের পর এক পরিক্ষা দিতে হয়েছে। তবে খুব সহজেই গোলের দেখা পাচ্ছিল না ফ্রান্স।
অবশেষে ম্যাচের ৭৯ মিনিটে সাফল্য পায় প্যারিস অলিম্পিকের আয়োজকরা। মাঘনঁ আকলিয়ুচের গোলে ব্যবধান নেমে আসে ৩-২ এ । এরপর মূল সময়ে গোল করতে না পারলেও যোগ করা সময়ে পেনাল্টি থেকে গোল করে সমতয়া ফেরে ফ্রান্স। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
এমন ম্যাচে শেষ চমকটা দেখায় স্পেনই। সদ্য ইউরোপজয়ী স্পেনের যুবারা অলিম্পিটকের সোনা জিততে আরও দুইটা গোল করে। অতিরিক্ত সময়ে স্পেনের হয়ে জোড়া গোল করে ম্যাচের হিরো বনে যান কামেয়ো। চল্লিশ বছর পর অলিম্পিকে সোনা জেতার সুযোগ তৈরি হলেও শেষ পর্যন্ত সেটা কাজে লাগাতে পারল না ফরাসি যুবারা।
মন্তব্য করুন