ব্রাজিলের মার্তাকে বলা হয় নারী ফুটবলের লিওনেল মেসি। মেসির (৮ বার) মতো সর্বোচ্চ ব্যালন ডি’অর জয়ের রেকর্ড তার (৬ বার)। ব্রাজিলের নারী ফুটবলের এ কিংবদন্তির একটাই আক্ষেপ, অলিম্পিকের স্বর্ণ। ক্যারিয়ারের শেষদিকে এসে সে স্বপ্ন হয়তো পূরণের পথে রয়েছেন তিনি।
প্যারিস অলিম্পিকে স্বর্ণ জয়ের লড়াইয়ে ফাইনালে উঠেছে ব্রাজিল। জিতলেই ইতিহাস গড়বেন মার্তা তথা ব্রাজিল ফুটবল। মার্শেইয়ে শেষ চারে মঙ্গলবার রাতে স্পেনকে ৪-২ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিল। ২০০৮ সালের পর প্রথমবারের মতো অলিম্পিকে নারী ফুটবলের ফাইনালে উঠেছে ব্রাজিল।
সোনা জয়ের লড়াইয়ে মার্তারা খেলবে রেকর্ড চ্যাম্পিয়ন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে। সেমিফাইনালে জার্মানিকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালের মঞ্চে মার্কিনিরা। এর আগে সেমিফাইনালের ম্যাচে অবশ্য ব্রাজিল নয় স্পেনই ছিল ফেভারিট।
গ্রুপপর্বের ম্যাচে স্পেনের কাছে হেরেছিল মার্তার দল। তবে সে হারের প্রতিশোধই নিল ব্রাজিল। ম্যাচের শুরুতেই গোল করে লিড নেয় লাতিন আমেরিকার দলটি। এরপর প্রথমার্ধ্বের যোগ করা সময়ে গাবি পোর্তিলহো ব্যবধান দ্বিগুণ করেন।
বিরতির পর দুই দলই সমানতালে খেলতে থাকে। তবে ৭০ মিনিটে আদ্রিয়ানার কল্যাণে ব্রাজিল ব্যবধান তিনগুণে নিয়ে যায়। ৯০ মিনিটে ক্যারোলিন ব্রাজিলের হয়ে চতুর্থ গোলটি করেন। এরপর স্পেন একটি গোল শোধ করলেও তা ম্যাচে ফেরার জন্য যথেষ্ট ছিল না।
সেমিফাইনালের অপর ম্যাচে জার্মানিকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে যুক্তরাষ্ট্র। অলিম্পিকে মেয়েদের ফুটবলে রেকর্ড চারবারের সোনাজয়ী দল অবশ্য গত বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ডেই বাদ পড়েছিল। যে কারণে এবারের অলিম্পিকে তাদের ফাইনালে ওঠা এক প্রকার চমকই বটে।
অলিম্পিক ফুটবলে এখন পর্যন্ত ব্রাজিলের মেয়েরা দুবার রুপা জিতেছেন। দুটি ম্যাচই তারা হেরেছিল যুক্তরাষ্ট্রের মেয়েদের কাছে। তাই কাগজে-কলমে এবারের ফাইনালে যুক্তরাষ্ট্রই এগিয়ে থাকবে।
তবে ব্রাজিলের কাছে প্রতিশোধের একটা সুযোগও এসেছে আবারও। যুক্তরাষ্ট্রকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো সোনা জিতে ইতিহাস গড়ারও একটা হাতছানি মার্তাদের সামনে। হয়তো সে স্বপ্ন পূরণও হতে যাচ্ছে তাদের।
মন্তব্য করুন