সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা আর্জেন্টিনার মিডফিল্ডার এনজো ফার্নান্দেজের একটি ভিডিও এখন বেশ আলোচনায়। বর্ণবাদের অভিযোগ এনেছে ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশন (এফএফএফ)।
এর তদন্তে নামার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা। কঠিন এ সময়ে সাবেক তারকা মিডফিল্ডার হ্যাভিয়ের মাশ্চরোনোকে পাশে পাচ্ছেন এনজো। গত সোমবার গান গেয়ে কোপা আমেরিকা জয়ের শিরোপা উৎসবে করে আর্জেন্টাইনরা।
এটি বর্ণবাদ মূলক গান বলে অভিযোগ করে এফএফএফ। এরপর এ ঘটনার তদন্তে নামে ফিফা। বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রণ সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটির বিষয়ে অবগত রয়েছে ফিফা। এবং এ ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। খেলোয়াড়, সমর্থক কিংবা অফিশিয়ালদের যেকোনো প্রকার বর্ণমাদমূলক আচরণের কঠোর নিন্দা করছে ফিফা।’
গত সোমবার সকালে কলম্বিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় ও রেকর্ড ১৬তম শিরোপা জয়ের রেকর্ড গড়ে আর্জেন্টিনা। আলবিসেলেস্তাদের শিরোপা উৎসবের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভ করছিলেন দলে মিডফিল্ডার এনজো ফার্নান্দেজ।
সেই লাইভ চলাকালে ফ্রান্সকে নিয়ে বর্ণবাদীমূলক গান ধরেন আর্জেন্টাইনরা। যদিও এর পরপরই লাইভটি বন্ধ করে দেন চেলসির এই মিডফিল্ডার। এ নিয়ে অভিযোগ করে ফ্রান্স ফুটবল।
যদিও এই ঘটনার পরপর ক্ষমা চান এনেজো ফার্নান্দেজ। এই মিডফিল্ডার বলেন, ‘এ গানে অত্যন্ত অপমানজনক ভাষা আছে এবং এসব শব্দ ব্যবহারের কোনো অজুহাতই নেই। সব ধরনের বৈষম্যের বিপক্ষে আমি। কোপা আমেরিকা উদ্যাপনের উন্মাদনায় পড়ে গিয়েছিলাম বলে ক্ষমা চাই।’
তবে এতে কাজ হয়নি। তার বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলামূলক প্রক্রিয়া শুরু করা জানায় তার ক্লাব চেলসি। ইংলিশ ক্লাবটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘যেকোনো ধরনের বৈষম্যমূলক আচরণকে অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করে চেলসি। খেলোয়াড়ের ক্ষমা চাওয়াকে আমরা প্রশংসার চোখে দেখি এবং এটাকে সচেতন করে তোলার সুযোগ হিসেবে দেখা হবে।’
ঘটনার দিনই ফিফার কারছে আর্জেন্টাইনদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক এবং অগ্রহণযোগ্য বর্ণবাদী আচরণের কঠোর নিন্দা জানিয়েছে ফিফার কাছে নালিশ করেন এফএফএফ সভাপতি ফিলিপ দিয়ালো। এরপরই তদন্তে নামে ফিফা।
এদিকে ভিডিওটির প্রসঙ্গে টেনে আর্জেন্টিনা অলিম্পিক দলের কোচ এবং বার্সেলোনা-লিভারপুলের সাবেক তারকা ফুটবলার মাশ্চরানো বলেন, ‘আমরা আর্জেন্টাইনরা আর যা–ই হোক অন্তত বর্ণবাদী নই। আমি এনজোকে চিনি। দারুণ মানুষ। তার এমন কোনো সমস্যা নেই।
এ ছাড়া তিনি আরও বলেন, ‘উদ্যাপনের অংশ হিসেবে একটি ভিডিওর অংশ অপ্রাসঙ্গিকভাবে উঠে এসেছে। দেশ হিসেবে আমাদের অন্তত অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাপারটি আছে। পৃথিবীর নানা প্রান্তের মানুষ আর্জেন্টিনায় বাস করে। তাদের সঙ্গে যে ব্যবহার করা উচিত, আমরা সেটাই করি।’
মন্তব্য করুন