লাউতারো মার্তিনেজ দারুণ ছন্দে থাকার পরও লিওনেল স্কালোনি আস্থা রেখেছিলেন হুলিয়ান আলভারেজের ওপর। কারণ ২৪ বছর বয়সি ফরোয়ার্ডকে বড় ম্যাচের খেলোয়াড় মনে করা হয়। ম্যানচেস্টার সিটি তারকা কোচের আস্থার প্রমাণ দিলেন কোপা সেমিফাইনালেও।
কানাডার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে আলভারেজ দলের প্রথম গোল করেছিলেন। তার বদলি হিসেবে মাঠে এসে স্কোর লাইন দ্বিগুণ করেন মার্তিনেজ। চিলির বিপক্ষে ম্যাচেও বেঞ্চ থেকে উঠে এসে জয়সূচক একমাত্র গোল করেছিলেন ইন্টার মিলান অধিনায়ক মার্তিনেজ।
সুবাদে ২৬ বছর বয়সি ফরোয়ার্ডকে পেরুর বিপক্ষে ম্যাচের একাদশে রাখা হয়। সে ম্যাচে জোড়া গোল করেছিলেন মার্তিনেজ। এখন পর্যন্ত আসরের সর্বোচ্চ (৪) গোলদাতা ইকুয়েডরের বিপক্ষে ম্যাচে একাদশে থাকলেও গোল করতে পারেননি। সেমিফাইনালে এসে মার্তিনেজকে বেঞ্চে রেখে আলভারেজকে একাদশে খেলান স্কালোনি।
নিউ জার্সির ইস্ট রাদারফোর্ডের মেট-লাইফ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচের ২৩ মিনিটে স্কোরিং চার্ট খোলেন হুলিয়ান আলভারেজ। এ গোলের মাধ্যমে উরুগুয়ের ডিয়েগো ফোরলান, ব্রাজিলের রোমারিও ও সতীর্থ লিওনেল মেসির পর চতুর্থ ফুটবলার হিসেবে মহাদেশীয় প্রতিযোগিতা এবং বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে গোল করার কীর্তি গড়লেন আলভারেজ।
কুশলী এ ফরোয়ার্ডের গোল আছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালেও। ২০২২-২৩ মৌসুমে ফাইনালে উঠে আসার পথে রিয়াল মাদ্রিদকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দেয় ম্যানসিটি। সে ম্যাচের যোগকরা সময়ে গোল করেছিলেন আলভারেজ।
শেষপর্যন্ত ইউরোপের সর্বোচ্চ ক্লাব প্রতিযোগিতার শিরোপাও জিতেছে তার ক্লাব ম্যানসিটি। কাতার বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে জোড়া গোল করেছিলেন আর্জেন্টাইন ক্লাব রিভার প্লেট দিয়ে উঠে আসা এ স্ট্রাইকার। শেষ পর্যন্ত তার দেশও চ্যাম্পিয়ন হয়।
আর্জেন্টিনা কোপা আমেরিকাের শিরোপা ধরে রাখতে পারলে সে সাফল্যের অন্যতম নেপথ্য কারিগর হিসেবে থাকবে আলভারেজের নাম।
মন্তব্য করুন