কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে ইকুয়েডরের বিপক্ষে ভালো ছিল না আর্জেন্টিনার পারফরম্যান্স। লা আলবিসেলেস্তাদের একমাত্র গোল এসেছে সেট পিস থেকে। এ ছাড়া প্রতিপক্ষের পোস্টে মাত্র দুটি শট রাখতে সক্ষম হন মেসি-লাউতারোরা।
পেনাল্টি শুটআউটে যদি এমিলিয়ানো মার্তিনেজ দুটি গুরুত্বপূর্ণ সেভ না করতেন, তাহলে বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হত বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। সে ম্যাচের পারফরম্যান্স নিয়ে নিজের অসন্তুষ্টির কথা জানান আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি।
এমন হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর, সেমিফাইনালের লাইনআপে বড় পরিবর্তন আনার কথা জানিয়ে ছিলেন তিনি। আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে কানাডাকে ২-০ গোলে হারিয়ে ছিল আর্জেন্টিনা। সে ম্যাচের রণকৌশলে সেমিফাইনালের একাদশ সাজানোর পরিকল্পনা আর্জেন্টাইন কোচের।
আর্জেন্টিনার সম্ভাব্য একাদশ (৪-৩-৩)
এমিলিয়ানো মার্তিনেজ (গোলকিপার): আসরের প্রথম তিন ম্যাচে কোন গোল হজম করেননি তিনি। তবে ইকুয়েডরের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে আর সুরক্ষিত রাখতে পারেনি গোলপোস্ট। তবে পেনাল্টি শুটআউটে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সেভ করে আসরের সেরা গোলকিপারের পুরস্কার জয়ের পথে এগিয়ে রয়েছেন তিনি।
নাহুয়েল মোলিনা (রাইট ব্যাক): বুধবার আর্জেন্টিনার হয়ে ৪২তম ম্যাচ খেলতে নামবেন তিনি। তার অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী গঞ্জালো মন্টিয়েল পুরোপুরি প্রস্তুত একাদশে জায়গা পেতে।
ক্রিস্টিয়ান রোমেরো (সেন্ট্রাল ব্যাক): রক্ষণে দলের সবচেয়ে ধারাবাহিক ফুটবলার তিনি। আর্জেন্টিনার গোল না হজম করার পেছনে তার অবদান অনেক। এ ম্যাচেও তার একাদশে থাকা নিশ্চিত।
লিসান্দ্রো মার্তিনেজ (সেন্ট্রাল ব্যাক): রোমেরোর সঙ্গে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করছেন তিনি। তাই তো অভিজ্ঞ নিকোলাস ওতামেন্ডিরকে বেঞ্চে রেখে থাকে লিসান্দ্রোকে খেলানোর দুঃসাহস দেখাচ্ছেন স্কালোনি। কোয়ার্টার ফাইনালে করেন নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক গোল।
নিকোলাস ত্যাগলিয়াফিকো (লেফট ব্যাক): একটি ছাড়া বাকি সবগুলো ম্যাচের একাদশে ছিলেন তিনি। মার্কোস আকুনার ইনজুরিতে সুযোগ হয় তার। তবে এখন আকুনা পুরোপুরি ফিট। এরপরও একাদশে তার থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
রদ্রিগো ডি পল (সেন্ট্রাল মিডফিল্ড): যদিও এবারের আসরে খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারছেন না এই মিডফিল্ডার। তবে শারীরিক দক্ষতা এবং রক্ষণে সহায়তা করার মানসিকতার কারণে কানাডার বিপক্ষেও তিনি থাকবেন একাদশে।
লিয়ান্দ্রো পারেদেস (সেন্ট্রাল মিডফিল্ড): কোয়ার্টার ফাইনালে একাদশে থাকলেও খুব একটা ছাপ ফেলতে পারেননি এনজো ফার্নান্দেজ। স্কালোনি মিডফিল্ডে একটি পরিবর্তন করার কথা ভাবছেন। সম্ভবত ডি পল এবং ম্যাক অ্যালিস্টারের পাশে শুরুর একাদশে থাকতে পারেন পারেদেস।
অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার (সেন্ট্রাল মিডফিল্ড): কোপার গত আসর থেকে আর্জেন্টিনার সেরা মিডফিল্ডার ম্যাক অ্যালিস্টার। তাকে একাদশে না রাখার কোনো কারণ নেই স্কালোনির।
অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া (রাইট উইং) : রহস্যময় কারণে কোয়ার্টার ফাইনালে ইকুয়েডরের বিপক্ষে মাঠে নামানো হয়নি তাকে। নিজের ভুল বেশ ভালো ভাবে বুঝতে পেরেছেন স্কালোনি। তাই তো কানাডার বিপক্ষে সেমিতে আবারও শুরুর একাদশে ফেরানো হচ্ছে অভিজ্ঞ এ উইঙ্গারকে।
জুলিয়ান আলভারেজ (স্ট্রাইকার): চলতি আসরে আর্জেন্টিনার প্রথম গোল করেছেন ম্যানচেস্টার সিটির এই স্ট্রাইকার। তবে শেষ ম্যাচে ছিলেন বেঞ্চে। লাউতারো মার্তিনেজ নিয়মিত গোল পাওয়ার পরও এবার আলভারেজকে শুরুর একাদশে রাখবেন স্কালোনি। কারণ মেসির সঙ্গে তার রসায়ণটা বেশ জমে।
লিওনেল মেসি (লেফট উইং): গ্রুপ পর্বে কানাডার বিপক্ষে গোল না পেলেও ছিলেন দুর্দান্ত। চিলির বিপক্ষে পান চোট। এ জন্য খেলা হয়নি পেরুর বিপক্ষে। ইকুয়েডরের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে ফিরলেও কিছু করতে পারেনি আটবারের ব্যালন ডি'অর জয়ী। পেনাল্টি শুটআউটে আর্জেন্টিনার প্রথম শট মিস করেন তিনি। আশা করা হচ্ছে সেমিতে পুরোনো রূপে ফিরবেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
মন্তব্য করুন