ইউরো কাপের কোয়ার্টার ফাইনালের মঞ্চে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো বনাম কিলিয়ান এমবাপ্পে— একে অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বী। তবে মাঠের বাইরে সিআরসেভেনের ভক্ত ফরাসি তারকা। দুই মহাতারকার জীবনেও আশ্চর্য মিল।
প্রবল আর্থিক সংকটের কারণে রোনালদোকে পৃথিবীতে আনতে চাননি তার মা মারিয়া সান্তোস। কাজ করতেন গৃহ পবিচালিকার। অন্যদিকে প্যারিসে কুখ্যাত অঞ্চলে জন্ম এমবাপ্পের। যেখানে শিশুদের হাতে তুলে দেওয়া হয় আগ্নেয়াস্ত্র। সেই আঁধারের জগত থেকে বেরিয়ে আসতে এনগোলো কান্তে, পল পগবাদের এমবাপ্পেও হাতিয়ার বানান ফুটবলকে।
আট বছর আগে ২০১৬ সালে ফ্রান্সকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ইউরো কাপের শিরোপা জেতে পর্তুগাল। সেবার পর্তুগিজ তারকাকে শুনতে হয়, ‘রোনালদো দুর্দান্ত, তবে সময়ের সেরা লিওনেল মেসিই।
প্রতিবার আঘাত পেয়ে ঘুরে দাঁড়ান তিনি। নিজেকে প্রমাণ করে এগিয়ে যাচ্ছেন, আঁধার থেকে বারবার ফিরে আসেন আলোতে।
চলতি আসরে দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের ১০৫ মিনিটে পেনাল্টি মিস করে কান্না করে সমালোচনা ও বিদ্রুপ মন্তব্যের শিকার হন রোনালদো। ৩৯ বছর বয়সি পর্তুগিজ তারকা বলেন, ‘ফুটবল আমাকে শিক্ষা দিয়েছে যারা ব্যর্থ হয়, তারাই উঠে দাঁড়িয়ে চেষ্টা করে ঘুরে দাঁড়ানোর।’
চলতি ইউরোয় এখন পর্যন্ত গোল করতে পারেননি তিনি। তবে প্রতিপক্ষ ফ্রান্স হওয়ায় পর্তুগালকে নিয়ে খুব বেশি আশাবাদী নন ফুটবল বিশ্লেষকরা। একই মনোভাব ফরাসি তারকার।
শেষ আটের দ্বৈরথের আগে এমবাপ্পে বলেন, ‘আমরা ক্ষুধার্ত হয়ে রয়েছি সেমিফাইনালে ওঠার জন্য। পর্তুগাল দারুণ শক্তিশালী। ওরা যে ইউরোপের অন্যতম সেরা দল তা শেষ আটে উঠেই প্রমাণ করেছে। আমার মনে হয়, দারুণ আক্রমণাত্মক খেলা হবে।’
দুই তারকার দ্বৈরথ নতুন নয়। ২০১৭-১৮ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় প্রথমবার মুখোমুখি হন রোনালদো-এমবাপ্পে। তখন রিয়াদ মাদ্রিদে রোনালদো আর পিএসজির জার্সিতে এমবাপ্পে। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-২ গোলে জিতেছিল রোনালদোর দল।
পর্তুগিজ অধিনায়কের পথে হেঁটেই ফরাসি তারকা যোগ দিয়েছেন রিয়ালে। সিআরসেভেনের কাছে স্প্যানিশ ক্লাবটি এখন অতীত। আর এমবাপ্পের কাছে ভবিষ্যৎ।
শনিবারের রাতে (বাংলাদেশ সময়) দ্বৈরথে যত না ফ্রান্স-পর্তুগালের, তার চেয়েও বেশি আদর্শ রোনালদোর বিপক্ষে ভক্ত এমবাপ্পের লড়াই।
ম্যাচ শুরু কখন
• শহর : হামবুর্গ, জার্মানি
• স্টেডিয়াম : ভক্সপার্কস্ট্যাডিয়ন
• তারিখ : শনিবার ৬ জুলাই
• ম্যাচ শুরুর সময় : রাত ১টা
পরিসংখ্যান
• ম্যাচ : ২৫
• পর্তুগাল : ৬
• ফ্রান্স : ১৬
• ড্র : ৩দুদলের সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচ
• ২৩ জুন ২০২১, পর্তুগাল ২-২ ফ্রান্স
• ১৪ নভেম্বর ২০২০, পর্তুগাল ০-১ ফ্রান্স
• ১১ অক্টোবর ২০২০, ফ্রান্স ০-০ পর্তুগাল
• ১০ জুলাই ২০১৬, পর্তুগাল ১-০ ফ্রান্স
• ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫, পর্তুগাল ০-১ ফ্রান্সযেভাবে দেখবেন
• যুক্তরাজ্য : বিবিসি ওয়ান, বিবিসি স্পোর্ট ওয়েব
• যুক্তরাষ্ট্র : ফক্স নেটওয়ার্ক, ফক্স স্পোর্টস অ্যাপ
• কানাডা : টিভিএ স্পোর্টস
• ভারত : সনি নেটওয়ার্ক
• বাংলাদেশ : টি স্পোর্টস, টি স্পোর্টস অ্যাপদুদলের সম্ভাব্য একাদশ
পর্তুগাল (৪-২-৩-১) : কোস্তা; ক্যানসেলো, ডায়াস, পেপে, মেন্ডেস; ভিটিনহা, পালিনহা; বার্নার্দো সিলভা, ব্রুনো ফার্নান্দেজ, লিও; রোনালদো
ফ্রান্স (৪-৩-৩) : মেগানান, কুন্দে, উপামেকানো, সালিবা, হার্নান্দেজ, কান্তে, চৌয়ামেনি, গ্রিজম্যান, দেম্বেলে, কোলো মুয়ানি, এমবাপ্পে।
মন্তব্য করুন