আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি ইকুয়েডরের বিরুদ্ধে কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার-ফাইনাল জয়ের পর গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। শুক্রবার (৫ জুলাই) এনআরজি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টাইব্রেকে মার্তিনেজের অসাধারণ পারফরম্যান্স আর্জেন্টিনার সেমিফাইনালে ওঠার ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করে।
ম্যাচটি ১-১ ড্রয়ের পর টাইব্রেকে গড়ায়। সেখানে আর্জেন্টিনার প্রাণ ভোমড়া লিওনেল মেসি আর্জেন্টিনার প্রথম পেনাল্টি মিস করলেও, মার্তিনেজের শুটআউটে অবিশ্বাস্য ভাবে অ্যাঞ্জেল মেনা এবং অ্যালান মিন্ডার প্রচেষ্টা রুখে দেয়। শেষ পর্যন্ত আর্জেন্টিনা ৪-২ ব্যবধানে জিতে সেমিফাইনালে পৌঁছায়।
ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে গোলকিপারের প্রতি মুগ্ধ স্কালোনি বলেন, ‘পেনাল্টিতে, দলটি (আর্জেন্টিনা) তাদের গোলকিপারের প্রতি অন্ধ বিশ্বাস অনুভব করেছিল। তিনি অপরিহার্য। যখন তিনি পেনাল্টি বাঁচান, তখন সেটি পুরো স্টেডিয়ামেই প্রতিধ্বনিত হয়।’
Lionel Scaloni: In penalties, the team has blind confidence in their goalkeeper, and for us, that is fundamental. Even with Leo missing, the team knew that something positive was going to happen." pic.twitter.com/PMz1AlVmQN— All About Argentina (@AlbicelesteTalk) July 5, 2024
স্কালোনি অবশ্য ম্যাচে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের প্রতিপক্ষ ইকুয়েডরেরও প্রশংসা করেন এবং তাদের শারীরিক চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা খুব কঠিন দলের মুখোমুখি হয়েছিলাম, শারীরিকভাবে তারা খুব শক্তিশালী। আমরা প্রথমার্ধে আরও গোল করতে পারতাম। দ্বিতীয়ার্ধ কঠিন ছিল, ছোট ছোট খেলা। আমাদের দল শক্তিশালী। কখনও কখনও তারা আমাদের দমন করেছিল, কিন্তু আমাদের দল সর্বদা প্রতিক্রিয়া দেখায়, আমরা ভালো খেলি বা খারাপ।’
কোপা আমেরিকা ২০২৪-এর সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা এখন ভেনেজুয়েলা এবং কানাডার মধ্যে বিজয়ীর মুখোমুখি হবে।
এর আগে আর্জেন্টিনা ম্যাচটি ফেভারিট হিসেবে শুরু করেছিল কিন্তু দৃঢ় প্রতিরোধী ইকুয়েডর দলের মুখোমুখি হয়েছিল। মেসির খেলার প্রভাব কম থাকলেও, আর্জেন্টিনা ৩৫ মিনিটে একটি সেট-পিস থেকে এগিয়ে যায়। একটি কর্নার যা আলেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টারের দিকে পাঠানো হয়েছিল, তা হেড করে পিছনের পোস্টে পাঠানো হয়, যেখানে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ডিফেন্ডার লিসান্দ্রো মার্তিনেজ গোল করেন।
ইকুয়েডর অবশ্য গোল খাওয়ার পরও হাল না ছেড়ে লড়াই চালিয়ে যায় এবং ৬০ মিনিটে একটি পেনাল্টি অর্জন করে। তবে, এননার ভ্যালেন্সিয়ার প্রচেষ্টা পোস্টে আঘাত হানে।
ইকুয়েডর এরকম দুর্ভাগ্যের পরও তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে এবং শেষ পর্যন্ত অতিরিক্ত সময়ে কেভিন রদ্রিগেজের ৯১ মিনিটে করা গোলের মাধ্যমে সমতা ফিরিয়ে আনে, যা ম্যাচটিকে পেনাল্টিতে নিয়ে যায়।
পেনাল্টি শুটআউটে ইকুয়েডর ব্যর্থ হয়, যেখানে এমিলিয়ানো মার্তিনেজের দক্ষতার জন্য আর্জেন্টিনা তাদের শিরোপা রক্ষার অভিযান অব্যাহত রাখতে পারে।
মন্তব্য করুন