গ্রুপ পর্বে চিলির বিপক্ষে পড়েন ইনজুরিতে। খেলা হয়নি পেরুর বিপক্ষে। ইকুয়েডরের বিপক্ষে প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে নামবেন কি না তা নিয়ে ছিল শঙ্কা। নামলেও ভয় ছিল আবারও চোটে পড়ার। ম্যাচে সে সেই কথাটাই বললেন লিওনেল মেসি।
স্বীকার করেন ইকুয়েডরের বিপক্ষে খেলার সময় আবারও চোট পাওয়ার ভয় কাজ করেছে তার। যার প্রভাব পড়েছে ম্যাচের পারফরম্যান্সে। এ ছাড়া এমিলিয়ানো মার্তিনেজের প্রশংসা করেন বলেন, দিবুর কাজগুলো তার খুবই পছন্দ।
বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (৫ জুলাই) সকালে টেক্সাসের হিউস্টনের এনআরজি স্টেডিয়ামে ৩৫ মিনিটে লিসান্দ্রো মার্তিনেজের গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। যোগ করা সময়ে কেভিন রদ্রিগেজের গোলে সমতায় ফেরে ইকুয়েডর।
ফাইনাল ছাড়া নকআউট পর্বে অতিরিক্ত সময় নেই। তাই ম্যাচ গড়ায় পেনাল্টি শুট আউটে। প্রথম শট মিস করেন দলের প্রাণভোমরা লিওনেল মেসি। হতাশা নিমজ্জিত আর্জেন্টাইনদের উল্লাসের উপলক্ষ এনে দেন এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। ইকুয়েডরের প্রথম দুই শট আটকে নিশ্চিত করেন বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের সেমিফাইনাল।
ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পেনাল্টি মিস করার ব্যাখ্যায় মেসি বলেন, ‘পেনাল্টি অনুশীলন করেননি। তবে অন্যদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমি গোল নিশ্চিত করার জন্য এবারের শট নিয়েছিলাম। তবে তা ক্রসবারে লেগে আবার আমার কাছে চলে আসে।’
পরে ম্যাচের নায়ক এমিলিয়ানো মার্তিনেজের প্রশংসা করেন বলেন, ‘আমি জানতাম দিবু সবসময় এই মুহূর্তের (পেনাল্টি শুট আউট) জন্য তৈরি থাকে। সে এই মুহূর্তটাতে পছন্দ করে। এটা এবং খুব দ্রুত, তার উপর অনেক বিশ্বাস ছিল। সৌভাগ্যের বিষয় সে আমাদের এই পর্যায়ে (সেমিতে) পৌঁছাই।’
Messi and his family ️
— All About Argentina (@AlbicelesteTalk) July 5, 2024
pic.twitter.com/1nqMhad25W
গ্রুপ গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে চিলির বিপক্ষে ডান পায়ে চোট পান মেসি। পেরুর বিপক্ষে খেলতে পারেননি। ইকুয়েডরের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালেও খেলা নিয়ে সন্দেহ ছিল। চোট নিয়ে আর্জেন্টাইন অধিনায়ক বলেন, ‘ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করেছি। ধীরে ধীরে অনুশীলন করেছি। কিছুটা ভয়ও ছিল। আমাকে ধীরে ধীরে যেতে হয়েছে। শেষ ওয়ার্কআউটে আমি আরও ভালো বোধ করেছি। এবং ভেবেছিলাম আমি হতে পারব।’
এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘ভালোই ছিলাম, আমার কোনো অসুবিধা হয়নি। তবে অস্বস্তি নিয়ে কিছুটা মানসিক ভয় ছিল। সে (লিওনেল স্কালোনি) আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল খেলতে চাই কিনা। এবং আমি হ্যাঁ বলেছিলাম।’
এদিকে ইকুয়েডরের পারফরম্যান্স নিয়ে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি বলেন, ‘আমরা জানতাম এটি এমন (কঠিন) হতে চলেছে। একটি তীব্র লড়াকু হবে। কিছু দিন আগে আমরা একটি প্রীতি ম্যাচ খেলেছি। আমরা জানি তাদের কী ধরনের খেলোয়াড় আছে এবং তারা কী ধরনের ম্যাচ খেলে।’
এ নিয়ে মেসি আরও বলেন, ‘আমরা যেমন আশা করেছিলাম, ঠিক তেমনই হয়েছে। তাদের খুব ভালো খেলোয়াড় আছে। তারা খুব গতিশীল, শক্তিশালী দল। তারা দুর্দান্ত খেলে কোয়ার্টার ফাইনালটা যে কঠিন করে তুলবে তা আমরা জানতাম।’
মন্তব্য করুন