পেনাল্টি শুট আউটের প্রথম শট লিওনেল মেসি পোস্টে মারলে, হতাশা নেমে আসে আর্জেন্টিনার শিবিরে। কিন্তু পরপর দুই শট রুখে দিয়ে আর্জেন্টাইনদের জয়ের নায়ক গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজ।
কোপার প্রথম কোয়ার্টার ফাইনাল নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে ড্র হওয়ার পর পেনাল্টি শুট আউটে ইকুয়েডরকে ৪-২ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
El reino del Dibu Martínez pic.twitter.com/z2wYHtxEYq
— CONMEBOL Copa América️ (@CopaAmerica) July 5, 2024
লিসান্দ্রো মার্তিনেজের গোলে এগিয়ে যাওয়া। এরপর টাইব্রেকে এমিলিয়ানো মার্তিনেজের বীরত্ব— বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (৫ জুলাই) সকালে টেক্সাসের হিউস্টনের এনআরজি স্টেডিয়ামে যেন ‘মার্তিনেজে’ জয়জয়কার আর্জেন্টিনার।
ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের শেষ দিকে নাটকীয় মোড়! ২০১৫ সালের পর ইকুয়েডরের কাছে হারেনি আর্জেন্টিনা। এমনকি সাম্প্রতিক সময়ে আর্জেন্টাইনদের গোলও দিতে পারেনি ইকুয়েডর। আর চলতি আসরে গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচে কোনো গোল হজম করেনি আলবিসেলেস্তারা।
তবে কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে জয়ের অপেক্ষায় ছিল আর্জেন্টাইনরা। ম্যাচের যোগ করা সময়ে (৯০+২) জন ইয়েবোয়াহের ক্রস থেকে কেভিন রদ্রিগেজের গোলে সমতায় ফেরে ইকুয়েডর। ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকে।
তবে সেখানে নায়ক এমি মার্তিনেজ। কোপা আমেরিকা গত আসরে এবং বিশ্বকাপেও আর্জেন্টিনার ত্রাণকর্তা ছিলেন অ্যাস্টন ভিলার এ গোলকিপার।
মেসির খেলা নিয়ে দিনভর চলে নানা জল্পনা-কল্পনা। আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি জানিয়েছিলেন তার মাঠে থাকা বাড়তি প্রেরণা। আর ইকুয়েডরের কোচের ভাষ্য ছিল ফিট-আনফিট দুই মেসিই ভয়ঙ্কর।
অবশেষে নিয়মিত অধিনায়ককে একাদশে রেখে প্রথম কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে নামে আর্জেন্টিনা। তবে ম্যাচে খুব বেশি ইমপ্যাক্ট ফেলতে পারেননি তিনি। ম্যাচের ৩৪ মিনিটে মেসির কাছ থেকে বল ডি-বক্সের বাইরে থেকে শট নেন এনজো ফার্নান্দেজ।
ইকুয়েডরের এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে বল চলে যায় বাইরে। ম্যাচের প্রথম কর্নার পায় আর্জেন্টিনা। মেসি কর্নার কিক নেন প্রথম পোস্টে, সেখানে দাঁড়ানো অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার পেছেনের দিকে হেড করে বল পাঠান দ্বিতীয় পোস্টে। বিনা বাধায় হেডে গোল করেন ফাঁকায় দাঁড়ানো লিসান্দ্রো মার্তিনেজ। জাতীয় দলের জার্সিতে এটি তার প্রথম গোল।
৬০ মিনিটে গোল করার সবচেয়ে সহজ সুযোগ পেয়েছি ইকুয়েডর। কর্নার কিক থেকে নিজেদের বক্সে হ্যান্ড বল করেন রদ্রিগো ডি পল। পেনাল্টি পায় ইকুয়েডর। ভ্যালেন্সিয়ার শট ফেরত আসে বাঁ-পাশের পোস্টে লেগে। ফিরতি বলে পিয়েরো হিনকাপিয়ের শটও লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
ম্যাচের ৬৮ মিনিটে প্রথম শট নেন মেসি। ডি পলের কাছ থেকে বল পেয়ে একজনকে কাটিয়ে আর্জেন্টাইন অধিনায়কের শট আটকে যায় বক্সে। পরে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে খেলা চললেও গোল পাচ্ছিল না কোনো দল।
যোগ করা সময়ে কেভিন রদ্রিগেজের গোলে সমতায় (১-১ গোলে) বুনো উল্লাসে মাতে ইকুয়েডরের ফুটবলাররা। নকআউট পর্বে ফাইনাল ছাড়া অতিরিক্ত সময় নেই। ফলে ম্যাচ সরাসরি গড়ায় টাইব্রেকে। বল ক্রসবারে মেরে প্রথম শটই মিস করেন মেসি।
ইকুয়েডরের হয়ে প্রথম দুটি শট নেওয়া অ্যাঞ্জেল মেনা এবং অ্যালান মিন্দার শট রুখে দেন এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। পেনাল্টি শুট আউটে ৪-২ গোলের জয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে আর্জেন্টিনা।
আগামী বুধবার (১০ জুলাই) ভেনেজুয়েলা-কানাডার দ্বিতীয় কোয়র্টারের জয়ী দলের বিপক্ষে সেমিফাইনালে খেলবে মেসিরা।
মন্তব্য করুন