টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের প্রথম ওভারেই সমালোচকদের জবাব দিলেন বিরাট কোহলি। অফফর্মের চূড়ায় থাকা এই ব্যাটার ভারতের ইনিংস শুরু করলেন দুর্দান্তভাবে। প্রথম ওভারে কোহলির ৩টি বাউন্ডারির ফলে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার মার্কো ইয়ানসেনের ভাগ্যে জুটল অনাকাঙ্ক্ষিত এক রেকর্ড। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রথম ওভার দিলেন প্রোটিয়ার এই পেসার।
ক্যাপ্টেন এইডেন মার্করামের নির্দেশে প্রথম ওভার বল করতে আসেন জানসেন, কিন্তু তার লাইন এবং লেন্থ ঠিক রাখতে ব্যর্থ হন। কোহলি এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রথম বলটি কাভারের দিকে ড্রাইভ করেন, একটি ফুল ডেলিভারিকে প্যাডের ওপর দিয়ে ফ্লিক করেন এবং আরেকটি বলকে চেক ড্রাইভ করে বাউন্ডারিতে পাঠান। জানসেন প্রথম ওভারে ১৫ রান দেন, যা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল ওভার।
এদিকে সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর, বিরাট কোহলি দারুণভাবে ফিরে আসেন। ড্রাইভ, ফ্লিক এবং চেক ড্রাইভের মাধ্যমে প্রথম ওভারেই ৩টি বাউন্ডারি করে ভারতের ইনিংসের শুরুটা করেন তিনি। এই আক্রমণাত্মক শুরু স্টেডিয়ামের নীল জার্সিধারী ভারতীয় ভক্তদের উল্লাসে ভাসায়।
যদিও কোহলির প্রথম দারুণ শুরু সত্ত্বেও, ভারত দ্রুত কিছু ধাক্কা খায়। তবে এক দিক থেকে উইকেট যেতে থাকলেও কোহলি খেলে গেছেন নিজের মতো। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন অক্ষর প্যাটেল। প্যাটেল ৩১ বলে ৪৭ রান করে আউট হলেও কোহলি ঠিকই এই বিশ্বকাপে নিজের প্রথম অর্ধশতক তুলে নেন।
তবে ইনিংস শেষ করে আসতে পারেননি তিনি। যাকে মেরে ইনিংস শুরু করেছিলেন সেই ইয়ানসেনের বলেই ফেরত যান তিনি। তবে তার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৫৯ বলে ৭৬ রান।
প্রসঙ্গত, ফাইনালের আগে কোহলি ৭ ম্যাচে মোট ৭৫ রান করেছিলেন। তবে, দলের প্রয়োজনের সময় তিনি তার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা প্রদর্শন করেন, যা বড় মঞ্চে তাকে আরও উজ্জ্বল করে তোলে।
মন্তব্য করুন