তারকারা জানেন কখন ফিরতে হয়! আসরজুড়ে ব্যর্থ ছিলেন তিনি। তবে ফর্মে ফেরার জন্য বেছে নিলেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের মঞ্চ। তার দুর্দান্ত অর্ধশতকে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৭৭ রানের টার্গেট দিয়েছে ভারত।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে, কোহলির ক্যারিয়ারের ৩৮তম অর্ধশতকে ৭ উইকেটে ১৭৬ রান করে রোহিত শর্মার দল।
আগে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারের শুরুতে কেশভ মহারাজকে রিভার্স সুইপে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে চার মারে রোহিত শর্মা। চতুর্থ বলে সাজঘরে ফেরেন ভারতীয় অধিনায়ক (৯)। সুইপ করতে গিয়ে স্কয়ার লেগে ক্লাসেনের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
সেই সুইপ করতে গিয়ে ওভারের শেষ বলে আউট হন ঋষভ পান্তও (০)। উইকেটের পেছনে তার ক্যাচ নেন কুইন্টন ডি কক। দ্রুত ফিরে গেছেন সূর্যকুমার যাদবও (৩)। কাগিসো রাবাদার বলে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্লাসেনের হাতে ধরা পড়েন ডানহাতি এই ব্যাটার।
দলীয় ৩৪ রানে সাজঘরে ফেরে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার। দ্রুত উইকেট হারানোয় অক্ষর প্যাটেলকে প্রমোশন দেওয়া হয়। অভিজ্ঞ কোহলিকে নিয়ে দলের বিপর্যয় কাটানোর পাশাপাশি বড় সংগ্রহের চেষ্টা করেন তিনি।
দুর্দান্ত ফর্ম নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এসেছিলেন বিরাট কোহলি। আইপিএলে ১৪ ম্যাচে করেছিলেন ৭০৮। জেতেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের পুরস্কার অরেঞ্জ ক্যাপ। এক সেঞ্চুরির সঙ্গে ছিল পাঁচ হাফসেঞ্চুরি।
তবে বিশ্ব মঞ্চে এই ফর্মটা ধরে রাখতে পারেননি তিনি। রোহিত শর্মার সঙ্গে ওপেনিংয়ে নেমে শুরু থেকে তুলতে পারেননি ঝড়। ৭ ম্যাচে করেছিলেন মাত্র ৭৫ রান। সবশেষ ৯ টি-টোয়েন্টিতে ছিল না অর্ধশতক।
অবশেষে ফাইনালে জ্বলে উঠল তার ব্যাট। এ দিনে তাকে দেখা যায় ভিন্ন রূপে। মার্কো ইয়ারসেনের করা প্রথম ওভারে তিন বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। সেই ওভারে আসে ১৫ রান।
৩৪ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ভারত। এমন সময় অক্ষর প্যাটেলকে নিয়ে ৫৪ বলে ৭২ রানের জুটি গড়েন ডানহাতি এই ব্যাটার। ৩১ বলে ৪৭ রান করে আউট হন অক্ষর। এরপর তুলে নেন এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম অর্ধশতক।
৫৯ বলে ৭৬ রানে আউট হন তিনি। ৬ বাউন্ডারি ও ২টি ছক্কা হাঁকান কোহলি। শেষ দিকে শিভম দুবে ১৬ বরে করেন ২৭ রান।
মন্তব্য করুন