টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের জন্য রেকর্ড প্রাইজমানি ঘোষণা করেছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি)। পুরো টুর্নামেন্টের জন্য ১ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় ১৩১ কোটি ৯২ লাখ ১৭ হাজার টাকার প্রাইজমানি বরাদ্ধ রাখা হয়।
গত আসরের তুলনায় এবার প্রাইজমানি বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। ২০২১ সালে অস্ট্রেলিয়ায় হওয়া সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মোট প্রাইজমানি ছিল ৫৬ লাখ ডলার বা ৬৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।
উইকেট নিয়ে কিছু বিতর্ক থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে হওয়া এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে স্মরণীয় করার সব আয়োজন করে আইসিসি। প্রাইজমানির দিক থেকেও রীতিমতো ইতিহাস গড়ে সংস্থাটি।
শিরোপা জয়ী দল পাবে ২.৪৫ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ২৯ কোটি টাকা। আসরের রানার্সআপ দলের জন্য রাখা হয়েছে ১.২৮ মিলিয়ন ডলার বা ১৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। ২০ দলের এই টুর্নামেন্টে এবার সেমিতে খেলা দলগুলোও পেয়েছে কোটি টাকার ওপরে।
সেমিফাইনাল থেকে বাদ পড়া আফগানিস্তন ও ইংল্যান্ড, দুই দলই পায় ৭ লাখ ৮৭ হাজার ৫০০ ডলার করে। বাংলাদেশি টাকায় যার মূল্য ৯ কোটি ২৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা।
সেমিফাইনালের আগে টুর্নামেন্টের সুপার এইট থেকে বাদ পড়া চার দল পেয়েছে ৩ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ ডলার বা ৪ কোটি ৪৮ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। এ তালিকায় বাংলাদেশ ছাড়াও রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়াদের দুই ভাগে দেওয়া হয় প্রাইজমানি। পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে ৯ থেকে ১২-এর মধ্যে থাকা চার দল পেয়েছে ২ লাখ ৪৭ হাজার ৫০০ ডলার বা ২ কোটি ৯০ লাখ ২২ হাজার টাকা করে।
আর ১৩ থেকে ২০তম দলগুলোকে দেওয়া হয়েছে ২ লাখ ২৫ হাজার ডলার বা ২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। অন্যান্যবারের তুলনায় এবার বোনাসও দেওয়া হয়। টুর্নামেন্টের প্রতিটি ম্যাচ জয়ের জন্য দলগুলোকে দেওয়া হয় আলাদা ৩১ হাজার ১৫৪ ডলার বা ৩৬ লাখ ৫৩ হাজার টাকা।
অপরাজিতভাবে বিশ্বকাপের ফাইনালে এসেছে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রত্যেক ম্যাচের জন্য বাড়তি ৩৬ লাখ ৫৩ হাজার টাকা করে পেয়েছে দুদল। অতীতের কোনো বিশ্বকাপে এত বেশি অর্থ খরচ করেনি আইসিসি। এবার সবকিছু ছাপিয়ে প্রাইজমানি দেওয়ার রেকর্ড গড়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা।
মন্তব্য করুন