সাফল্যের বিচারে এটিই হয়তো বাংলাদেশের সেরা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। কিন্তু বাস্তবতার নিরিখে পুরো টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ দল ব্যর্থ হয়েছে। ব্যাটিংয়ে ৭ ম্যাচেই সুবিধা করতে পারেননি কোনো ব্যাটার।
ধারাবাহিক এই ব্যর্থতার পরও একটা অর্জন ঠিকই আছে। সেটা হচ্ছেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। প্রথমবার সাহস নিয়ে বিশ্বকাপে কোনো বিশেষজ্ঞ লেগ স্পিনারকে খেলিয়েছিল বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টজুড়ে তার ফলও মিলেছে।
টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল পর্যন্ত সেরা উইকেট সংগ্রাহক আফগানিস্তানের ফজলহক ফারুকি। ৮ ম্যাচে তার উইকেট সংখ্যা ১৭। এই তালিকার চতুর্থস্থানে বাংলাদেশের রিশাদ। ৭ ম্যাচ খেলে ১৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশের বিশ্বকাপ ইতিহাসেও তিনি সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন। তার সঙ্গে আছেন পেসার তানজিম হাসান সাকিবও। নিজের প্রথম বিশ্বকাপে ১১ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে কোনো বিশ্বকাপ আসরে সর্বোচ্চ ১১ উইকেট ছিল সাকিব আল হাসানের। এতদিন ধরে রেকর্ডটি নিজের দখলে রেখেছিলেন বাঁ হাতি অলরাউন্ডার। এবার সেটা ভেঙে সবার ওপরে রিশাদ।
বিষয়টিতে ইতিবাচক মনে করেন সহ-অধিনায়ক তাসকিন আহমেদও। দেশে ফেরার পর শুক্রবার (২৮ জুন) বলেন, ‘তানজিম সাকিব, রিশাদ ওরা সর্বোচ্চ উইকেটশিকারিদের মধ্যে ছিল, সেরা পাঁচে ছিল। রিশাদ এখনও আছে। সব মিলিয়ে ভালো করেছে। এটা খুবই ইতিবাচক যে বাংলাদেশ থেকে ভবিষ্যতের তারকারা উঠে আসবে।’
মন্তব্য করুন