সাত মাস, দিনের হিসেবে ২২৬—আবারও ফাইনালে উঠেছে ভারত। ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল রোহিত শর্মার দল।
এ বার গত আসরের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হারিয়ে শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে জায়গা নিয়েছে ভারত। সেবার ঘরের মাঠে অপরাজিত ভাবে ফাইনালে এসেছিল স্বাগতিকরা। এবারও গ্রুপ পর্ব ও সুপার এইটের পর নকআউট পর্বেও কোনো ম্যাচ হারে ভারত।
শনিবার এশিয়ান চ্যাম্পিয়নদের সামনে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলতে আসার দক্ষিণ আফ্রিকা। আইসিসির বৈশ্বিক আসরের প্রথম ট্রফি জয়ের হাতছানি প্রোটিয়াদের।
অন্যদিকে ২০০৭ সালের পর দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ের সুযোগ ভারতের। আর ১৩ বছর পর আরও একটি আইসিসির বৈশ্বিক আসরের শিরোপার হাতছানি রোহিত-কোহলিরা।
বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ৬৮ রানে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে ভারত। ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরের ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল তারা।
২০১৪ সালে দ্বিতীয়বার ফাইনাল খেলে তারা। সেবার শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা বঞ্চিত হয় ধোনি-কোহলিরা।
পুনরাবৃত্তি হয়নি দেড় বছর আগের স্মৃতি। অস্ট্রেলিয়া হওয়া গত আসরের সেমিফাইনালে ভারতকে ১০ উইকেট হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়ে ছিল ইংলিশরা। সেই ম্যাচের আট জন ক্রিকেটার ছিলেন এবারের সেমিফাইনালের প্রথম একাদশে ছিলেন।
গায়ানায় বৃষ্টিবিঘ্নিত দ্বিতীয় সেমিফাইনালে টস হেরে আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৭১ রান করে ভারত। জবাবে জবাবে ১০৩ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড।
সেমিফাইনালে পরে ব্যাট করা দলের এটি দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর। সেমিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৮ রানে জয়ের রেকর্ডও এটি।
এর আগে ১৯৮৩ ও ২০১১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা জেতে ভারত। আর ২০০৭ সালে জেতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা। আগামীকাল শনিবার (২৯ জুন) বার্বাডোজের ব্রিজটাউনের ফাইনালে ভারত মুখোমুখি হবে দক্ষিণ আফ্রিকার।
শিরোপা জয়ের মঞ্চে আসার আগে হারেনি কোনো দল। ফলে প্রথমবারের মতো অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন পেতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
মন্তব্য করুন