একটা সময় মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন কুইন্টন ডি কক। ব্যাটে রান পাচ্ছিলেন না। ফলে অবসরও নিয়ে নেন। সেই পরিস্থিতি এখন বদলে গেছে। চলতি বিশ্বকাপে রান পাচ্ছেন। সেমিফাইনালে ৫ রানে আউট হলেও বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড ও আমেরিকার বিপক্ষে ৬৫ ও ৭৪ রান করেন। অন্য ইনিংসগুলোতেও সাবলীল ব্যাটিং করেছেন তিনি। অথচ ২০১৫ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে আট ম্যাচে তার গড় ছিল ২০। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৮ ম্যাচে ২০৪ রান করেছেন।
কুইন্টন ডি ককের মনোবল ফিরে পাওয়ার গল্প বলেছেন তার ছোটবেলার কোচ। নদীতে ১৫ কেজি ওজনের একটি মাছ ধরে কীভাবে বদলে গিয়েছিলেন ডি কক সেই গল্প বলেন তার ছোটবেলার কোচ জিউফ্রে টোয়ানা, ‘আমি সেই ২০০৬ সাল থেকে চিনি তাকে। সে তখন স্কুলে পড়ত। স্কুল ক্রিকেটে নাম করছে। সবাই তাকে নিয়ে আলোচনা করছে। ১৬ বছর বয়সে সব ম্যাচে ডি কক সেঞ্চুরি করছিল। এরপর খারাপ সময় পার করেছে।’
২০১৫ সালের বিশ্বকাপ বাজেভাবে শেষ হওয়ার পর ১৫ কিলো ওজনের একটি টাইগার মাছ ধরেন ডি কক। সেই ঘটনা নিয়ে তার কোচ বলেন, ‘মিচেল জনসনের বাউন্সার খেলা, মাছ ধরার চেয়ে অনেক কঠিন। কিন্তু এত বিশাল মাছ ধরতে ঘাম ঝরাতে হয়েছিল। ডি কক ভালো ক্রিকেটার। ফর্মহীন অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারে সে। জীবনের যে কোনো ঘটনা থেকে তাড়াতাড়ি শিখে নিতে পারে।’
মন্তব্য করুন