আবারও উইকেট বিতর্ক। প্রশ্ন উঠল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আরও একটি স্টেডিয়ামের উইকেট নিয়ে। প্রথম সেমিফাইনালের উইকেট নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আফগানিস্তানের কোচ জোনাথন ট্রট।
ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা ক্রিকেট একাডেমির স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৫৬ রানে অল আউট হয় আফগানিস্তান। নিজেদের ইতিহাসের সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড এটি। এ ছাড়া আইসিসির বৈশ্বিক আসরের নকআউটের সর্বনিম্ন স্কোরও।
মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এতে ফাইনালে ওঠে প্রোটিয়ারা। সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেয় আফগানরা। তবে জয়-পরাজয় ছাপিয়ে এখন আলোচনায় ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা ক্রিকেট একাডেমির স্টেডিয়ামের উইকেট।
ম্যাচ শেষে আফগান ইংলিশ কোচ বলেন, খুব বেশি অভিযোগ করে নিজেকে বিপদে ফেলতে চাইছি না। কিন্তু একটা কথা বলতে চাই- বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে এ ধরনের উইকেট করা উচিত নয়। দু’দলের কাছেই সমান সুবিধা থাকা উচিত।
এ সময় তিনি আরও বলেন, আমি বলছি না, একেবারে ফ্লাট উইকেট করা উচিত। কিন্তু এমন পিচে খেলানো উচিত যেখানে সামনের পায়ে খেলতে গিয়ে ব্যাটারকে ভাবতে হয় না যে বল মাথার ওপর দিয়ে বেরিয়ে যাবে। ব্যাটারদের একটু হলেও আত্মবিশ্বাস দেওয়া উচিত।
টি-টোয়েন্টিতে এ ধরনের উইকেট ব্যবহার করা উচিত নয় বলে মনে করেন সাবেক ইংলিশ ব্যাটার, টি-টোয়েন্টিতে সবাই আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে চায়। কেউ নিজের উইকেট বাঁচানোর চেষ্টা করে না। এই ধরনের উইকেটে বোলাররা অনেক বেশি সুবিধা পায়। তবে স্বীকার করতে হবে, দক্ষিণ আফ্রিকা আমাদের থেকে ভালো বল করেছে। ওরা উইকেটে বল রেখেছে। বাকি কাজটা পিচ করে দিয়েছে।
প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপরও উইকেটের আচরণ নিয়ে খুশি নন প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্করামও। তিনি বলেন, পুরো বিশ্বকাপে এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে তাদের।
দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক বলেন, আমরা শুরু থেকেই বেশ কিছু কঠিন উইকেটে খেলেছি। নিউইয়র্কেও কঠিন উইকেটে ছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজেও বেশ কয়েকটা মাঠে ব্যাট করা কঠিন। আমরা খুশি যে ত্রিনিদাদের উইকেটে আমাদের আর খেলতে হবে না।
মন্তব্য করুন