সুপার এইটে ভারতের কাছে হারলেও অস্ট্রেলিয়া এবং বাংলাদেশকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলতে নামে আফগানিস্তান।
তবে ফাইনারে ওঠার লড়াইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে বিধ্বস্ত হয় আফগানরা। ৯ উইকেটের হারে থেমে যায় তাদের রূপকথার অগ্রযাত্রা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের পর সামনে এসেছে আফগানদের ঘিরে নানা অব্যবস্থাপনার কথা। যার সমালোচনা করেছেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভন।
বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকালে ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা ক্রিকেট একাডেমির স্টেডিয়ামে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের ইতিহাসের সর্বনিম্ন ৫৬ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান।
এর আগে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আফগানদের সর্বনিম্ন স্কোর ছিল ৭২ রান। ২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাদের ৭২ রানে অলআউট করে ছিল বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে নকআউট পর্বের ম্যাচেও এটি সর্বনিম্ন স্কোর।
২০২৩ সালে আফ্রিকা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনস কাপে শেষ চারের লড়াইয়ে বতসোয়ানাকে ৬২ রানে অলআউট করেছিল উগান্ডা।
আফগানদের ইনিংসের সর্বোচ্চ ১৩ রান আসে মিস্টার এক্সটা থেকে। দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছান কেবল আজমতউল্লাহ ওমরজাই (১০)। এমন ভরাভুবির জন্য আফগানরা কাউকে দায়ি না করলেও ইংলিশ অধিনায়ক মাইকেল ভন আঙুল তুলেছেন বিশ্বকাপের ব্যবস্থাপনার দিকে।
স্থানীয় সময় সোমবার রাতে বাংলাদেশকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো কোনো বিশ্ব আসরের সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে আফগানিস্তান। খেলার সেই ধকল কাটানোর আগে সেন্ট ভিনসেন্ট থেকে ত্রিনিদাদের বিমান ধরতে হয় তাদের।
সেই বিমান ধরার জন্য বিমানবন্দরে চার ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় আফগানদের। ২৯৮ কিলোমিটারের বিমান ভ্রমণ শেষে অবশেষে ত্রিনিদাদে পৌঁছান তারা। আগের দিনের ম্যাচ খেলার ধকল এবং ভ্রমণ ক্লান্তি কাটাতে দলের অনুশীলন রাখেননি ইংলিশ কোচ জনাথন ট্রট।
পুরো বিশ্বকাপে এবারই প্রথম ত্রিনিদাদের এই ভেন্যুতে ম্যাচ খেলতে নামে আফগানরা। মানিয়ে নেওয়া তো দূরে কথা, কন্ডিশন সম্পর্কে পরিস্কার ধারণা নেওয়ার সুযোগ পায়নি আফগানিস্তান। কাজেই ম্যাচে যা হবার তাই হয়েছে।
বড় আসরে সেমিফাইনালে খেলার চাপ এবং কন্ডিশন সম্পর্কে জ্ঞান না থাকায় ভেঙে পড়েছে আফগানদের ব্যাটিং লাইনআপ। বিশ্বকাপের ব্যবস্থাপনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
সেই আলোচনায় যোগ দেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘সেন্ট ভিনসেন্টে সোমবার রাতে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিতে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। এরপর বিমানবন্দরে চার ঘণ্টার অপেক্ষা। কন্ডিশন সম্পর্কে ধারণা নিতে সেমিফাইনালের ভেন্যুতে অনুশীলনের সুযোগও পায়নি তারা। ক্রিকেটারদের সম্মান করার অভাব দেখে আমি ভয় পাচ্ছি।’
মন্তব্য করুন