চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অফফর্মে থাকা স্বত্তেও নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে খেলার সুযোগ ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। তবে সুযোগ থাকলেও, বাংলাদেশ তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি ক্রিকেটারদের মধ্যে সেমিফাইনালের সমীকরণ মেলানোর মানসিকতাও দেখা যায়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বাধীন দলটি গ্রুপ পর্বে চার ম্যাচের তিনটি জিতলেও, সুপার এইটে প্রতিটি ম্যাচেই হয়েছেন ব্যর্থ। আর গতকাল তো আফগানিস্তানের কাছে ডি/এল মেথডে ৮ রানে হেরে বিশ্বকাপ অভিযানই শেষ হলো। এ বিষয়ে অবশ্য এখনও কোনো মন্তব্য করেননি বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
বুধবার (২৬ জুন) টাইগারদের পরাজয় ও বিশ্বকাপ পারফরম্যান্স নিয়ে গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে বিসিবি প্রধানের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়। তবে তিনি পুরো বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে ৩০ মিনিট লাগবে বলে জানান এবং সাংবাদিকদের পরে কোন এক সময় আমন্ত্রণ জানান। তবে সেই ব্রিফিংয়ের সুনির্দিষ্ট কোনো সময় এখনও জানানো হয়নি।
পাপন গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘এটা শুধু গতকালের ম্যাচ নয়, পুরো টুর্নামেন্ট নিয়ে (বলতে হবে) যা এক কথায় উত্তর দেওয়া সম্ভব না। এখানে পুরো বিষয়টা… পারফরম্যান্স বলতে গেলে এর পেছনে অনেক কথা বলতে হবে। এটা না হলে আপনারা বুঝবেন না, কেউ বুঝবে না। আপনারা আসেন, মিনিমাম আধাঘণ্টা লাগবে আমার ব্যাখ্যা করতে।’
এর আগে (মঙ্গলবার) সুপার এইটে নিজেদের শেষ ম্যাচে সেন্ট ভিনসেন্টে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ-আফগানিস্তান। যেখানে রশিদ খানের নেতৃত্বাধীন দল আগে ব্যাট করে ১১৫ রান সংগ্রহ করে। বাংলাদেশের সেমিফাইনালে যেতে হলে ১২.১ ওভারের মধ্যে লক্ষ্য ছুঁতে হতো। কিন্তু সেই সমীকরণ মেলানো দূরে থাক, শান্ত-সাকিবরা মাত্র ১০৫ রানে অলআউট হয়ে বৃষ্টি আইনে ৮ রানে হেরে বিদায় নিশ্চিত করে।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত এ বিষয়ে বলেন, ‘পরিকল্পনা ছিল যে আমরা প্রথম ৬ ওভারে চেষ্টা করব। ভালো শুরু করলে এবং দ্রুত উইকেট না হারালে আমরা সুযোগটা নেব। কিন্তু দ্রুত ৩ উইকেট হারানোর পর আমাদের পরিকল্পনা পরিবর্তন হয়। তারপরও আমি বলব, মিডল অর্ডার ভালো সিদ্ধান্ত নেয়নি। যার কারণে ম্যাচটা আমরা হেরে গেছি।’
মন্তব্য করুন