চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পরাজয়ের পর অস্ট্রেলিয়ার সেমিফাইনাল ভাগ্য নির্ভর করছিল বাংলাদেশের ম্যাচের ওপর। আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেষের জয়ই অস্ট্রেলিয়াকে নিতে পারত সেমিফাইনালে। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের পর ‘কাম অন বাংলাদেশ’ বলে বাংলাদেশের প্রতি সমর্থনও জানিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক মিচেল মার্শ। পুরো অজি দল মিলে বাংলাদেশের খেলাও দেখছিলেন তারা। আশা ছিল টাইগারদের জয় দেখবেন তবে বাংলাদেশ আশা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত হেরে যাওয়ায় হতাশ হয়েছে অজি দল।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অজি অধিনায়ক আফগান ও বাংলাদেশের ম্যাচ নিয়ে কথা বলেন। সেখানে মিচেল মার্শ আফগানিস্তানের গুলবাদিন নাইবের অভিনয়ের মজার দিকটি তুলে ধরলেও, বাংলাদেশের হারের কারণে তার হতাশা স্পষ্ট ছিল।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) ম্যাচের ১২তম ওভারে বৃষ্টির কারণে খেলা ধীর করার সংকেত পেয়ে নাইব মাটিতে পড়ে তার বাম হ্যামস্ট্রিং চেপে গড়াগড়ি শুরু করেন। এই নাটকীয়তার ফলে ম্যাচটি কিছুক্ষণের জন্য থেমে যায়। বৃষ্টির কারণে ম্যাচে আফগানিস্তান এগিয়ে ছিল এবং শেষে তারা জয়ী হয়, যার ফলে অস্ট্রেলিয়া টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়ে।
মার্শ ম্যাচের ফলাফল সম্পর্কে বলেন, ‘আমরা গ্রুপ হিসেবে ম্যাচটি দেখছিলাম। এটা সত্যিই একটি অবিশ্বাস্য খেলা ছিল, অনেক ঘাত-প্রতিঘাত ছিল। কিন্তু এক্ষেত্রে আমাদের দোষ ছিল, আমরা নিজেদের খেলার মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারতাম।’
বাংলাদেশ ১১৫ রানের টার্গেট তাড়া করতে গিয়ে ৮১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ডিএলএস পার স্কোরের পেছনে ছিল। গুলবাদিন নাইবের নাটকীয়তা এবং তার পরবর্তী উদযাপনের কথা উল্লেখ করে মার্শ বলেন, ‘আমি প্রায় হাসতে হাসতে কেঁদে ফেলেছিলাম। এটা খেলার ওপর কোনো প্রভাব ফেলেনি, তাই আমরা এখন এটা নিয়ে হাসতে পারি। কিন্তু সত্যিই, এটা অসাধারণ ছিল।’
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এই হারে অস্ট্রেলিয়ার টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়। এই বিষয়ে মার্শ বলেন, ‘আমরা খুবই হতাশ ছিলাম যখন বাংলাদেশের শেষ উইকেট পড়লো। আমরা টুর্নামেন্টে আরো এগিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আফগানিস্তান তাদের খেলার মাধ্যমে প্রমাণ করেছে তারা সেমিফাইনালে যাওয়ার যোগ্য।”
মার্শ আরও বলেন, ‘আমরা নিজেদেরই দোষ দিতে পারি। এই টুর্নামেন্টে আরো খেলার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু সেটা আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল। আমাদের নিজেদের দোষেই আমরা এই পরিস্থিতিতে পড়েছি।’
এখন, আফগানিস্তান সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে এবং অস্ট্রেলিয়া পরবর্তী প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুতি নেবে। এই ঘটনার পর, অস্ট্রেলিয়ার দল স্বাভাবিকভাবেই তাদের পারফরম্যান্স নিয়ে পর্যালোচনা করবে এবং ভবিষ্যতের জন্য আরও শক্তিশালী ভাবে ফিরে আসার পরিকল্পনা রাখবে।
মন্তব্য করুন