বর্তমান প্রেক্ষাপটে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১৪০ কখনোই লড়াইয়ের মতো স্কোর না। মাঝে মধ্যে এই রান তো দলগুলো দশ ওভারেই তুলে ফেলে। বিশেষ করে প্রতিপক্ষ যখন হয় অস্ট্রেলিয়ার মতো হার্ড হিটার দল। চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটে প্রথম ম্যাচে টাইগাররা অজিদের এই ১৪১ রানের টার্গেটই দিয়েছিল। আশা ছিল বোলিং ভালো করে ম্যাচ জমিয়ে তুলবে বাংলাদেশ তবে ডেভিড ওয়ার্নারের ছিল অন্য পরিকল্পনা।
ওয়ার্নারের ঝড়ো ফিফটিতে জয়ের কাছে ছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে অজিদের সে কাজ করতে দেয়নি বৃষ্টি। অ্যান্টিগুয়ার ঝড়ো বৃষ্টিতে ডিএলএস মেথডে পরাজয় হয়েছে বাংলাদেশের।
শুক্রবার (২১ জুন) অ্যান্টিগুয়ায় চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটে গ্রুপ ‘১’ এর অস্ট্রেলিয়ার কাছে বৃষ্টি আইনে ২৮ রানে পরাজয় দিয়ে বিশ্বকাপের সুপার এইট মিশন শুরু হলো বাংলাদেশ।
বৃষ্টি ম্যাচে বাগড়া দেওয়ার আগেই অবশ্য জয়ের কাছাকাছি ছিল অজিরা। দ্বিতীয়বারের মতো বৃষ্টি আসার সময় অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ছিল ১১.২ ওভারে ১০০ রান। ১২তম ওভারের প্রথম বলে তাসকিনকে ছয় মেরে নিজের ফিফটি তুলে নেন ওয়ার্নার। ওয়ার্নারের ঝড়ো ইনিংসে ডিএলএস মেথডে ২৮ রানে এগিয়ে ছিল অজিরা। শেষ পর্যন্ত বৃষ্টি না থামায় ওই ব্যবধানেই সুপার এইটে প্রথম জয় পায় মিচেল মার্শের দল।
এর আগে টাইগারদের দেওয়া ১৪১ রানের টার্গেটে অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার ট্রাভিস হেড ও ডেভিড ওয়ার্নার প্রথম দুই ওভার সতর্ক শুরু করেন। মাত্র ১০ রান আসে সেই দুই ওভার থেকে। তবে তৃতীয় ওভার থেকে হাত খুলে খেলা শুরু করেন দুই ব্যাটারই। এর মধ্যে মোস্তাফিজ ও তাসকিনের করা দুই ওভার থেকেই আসে ২৮ রান। ৬.২ ওভারেই অজিদের রান হয়ে যায় ৬৪।
তবে অজিদের রান ৬৪ হওয়ার পর হানা দেয় বৃষ্টি। বৃষ্টি আসার আগ পর্যন্ত হেড করেছেন ৩১ ও ওয়ার্নার ৩২ রান। বৃষ্টি আইনে অবশ্য অনেক এগিয়ে যায় অজিরা। সেসময় বৃষ্টি না থামলে জয়ী হতো তারাই কারণ সে সময় তাদের রান থাকতে হতো ৩৫ সেখানে বর্তমানে তারা এগিয়ে যায় ২৯ রানে।
বৃষ্টির পর খেলা শুরু হলে বাংলাদেশ অবশেষে ব্রেকথ্রু পায় রিশাদ হোসেনের হাতে। বৃষ্টির পর ম্যাচ শুরু হতেই বোল্ড করেন ৩১ রানে থাকা ট্রাভিস হেডকে। এখানেই ক্ষান্ত হননি রিশাদ। নিজের পরের ওভারে এসে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন অজি অধিনায়ক মিচেল মার্শকে। রিভিউ নিয়েও উইকেট বাঁচাতে পারেননি মার্শ, প্যাভিলিয়নে ফিরে গেছেন ৬ বলে ১ রান নিয়ে। তবে বাকি কাজ সহজেই করেছেন ম্যাক্সওয়েল ও ওয়ার্নার।
এদিকে শুরুতে ব্যাটিং করে স্টার্ক, জাম্পাদের সামনে ঠিক স্বাচ্ছন্দ্যে ছিলেন না টাইগার ব্যাটাররা। তবে অধিনায়ক শান্তর রানে ফেরা ও তাওহীদ হৃদয়ের ঝড়ো ৪০ রানে বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১৪০ রানে। অজি পেসার প্যাট কামিন্স আবার করেছেন হ্যাটট্রিক।
মন্তব্য করুন