টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম দুই ম্যাচে ব্যাট এবং বল, দুই বিভাগেই ব্যর্থ ছিলেন সাকিব আল হাসান। এ জন্য কম সমালোচিত হননি তিনি। সবচেয়ে বেশি সমালোচিত হয়েছেন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার হয়েও পরপর দুই ম্যাচে দৃষ্টিকটু আউটের কারণে।
দুই ম্যাচে আউট হয়েছেন পেসারদের বাউন্সারে। এমনিতে বাংলাদেশের ব্যাটারদের বাউন্সারে সমস্যা বহুদিনের। কিন্তু বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে দলের বিপদের সময় এভাবে আউট হওয়াতে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাথিরানার বাউন্সারে আপার কাট খেলার চেষ্টা করেন সাকিব। কিন্তু বল ব্যাটের উপরের দিকে লেগে চলে যায় ডিপ থার্ড ম্যানে। সেখানে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন থিকসানা। ১৪ বলে আট রান করেছিলেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেই এক বাউন্সারে আউট হন সাকিব। এবার নর্কিয়ার বলে পুল করতে দিয়ে সোজা আকাশে তুলে দেন বল। শট মিড উইকেটে সহজ ক্যাচ লুখে নেন প্রোটিয়া অধিনায়ক মার্করাম।
ডাচদের বিপক্ষে দলীয় ২৩ রানে নাজমুল হোসেন শান্ত ও লিটন দাস সাজঘরে ফিরলে ব্যাটিংয়ে নামেন সাকিব। এবারও বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের জন্য বাউন্সারের পরসা সাজিয়ে ছিলেন ডাচ পেসাররা। কিন্তু এবার বাউন্সারে দুর্দান্ত খেলেন তিনি।
প্রথমে কাভার ড্রাইভে বাউন্সারি হাঁকালেও দ্বিতীয় চার মারেন বাউন্সারে আপ কাটে। পরে আরও বাউন্ডারি হাঁকান পুল শটে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাউন্সারে আউট হওয়ার পর অনুশীলনে এ নিয়ে অনুশীলনের কথা জানিয়ে ছিলেন সাকিব।
তা প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে ডাচদের বিপক্ষে ম্যাচে। পেসারদের বাউন্সার স্বাচ্ছন্দে খেলছেন বলেই সাকিবকে কুপোকাত করার সেই পরিকল্পনা থেকে সরে আসে নেদারল্যান্ডসের বোলাররা।
মন্তব্য করুন