দুই দলের মধ্যে পার্থক্য অনেক। এক দল যেখানে বিশ্ব ক্রিকেট শাসন করে, সেখানে আরেকদল ভদ্রলোকের খেলার নতুন অতিথি। এক দলের অবস্থান যেখানে র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বরে সেখানে আরেক দল ১৮ তে। বলা হচ্ছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের কথা। পার্থক্য অনেক থাকলেও দু’দল বিশ্বকাপের মঞ্চে মিলেছিল এক বিন্দুতে।
বুধবার (১২ জুন) চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ ‘এ’ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। যেখানে বিশ্বকাপের নবাগত দলটিকে ৭ উইকেটে হারিয়ে তৃতীয় দল হিসেবে সুপার এইট নিশ্চিত করলো আসরের অন্যতম ফেভারিট দল ভারত।
বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে আটটায় শুরু হওয়া ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ১১০ রান করে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। জবাবে ১০ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখে জয় পায় ভারত।
নিউইয়র্কের রহস্যময় পিচে ১১১ রান তাড়া করা সহজ ছিল না। তার ওপর নেমে শুরুতেই তিন উইকেট হারিয়ে হোঁচট খায় ফেভারিট ভারত। ৩৯ রানে ৩ উইকেট হারানো ভারতকে হারিয়ে বিশ্বকে আবারো চমকানোর সবকিছু করেই রেখেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে তাদের এই পরিকল্পনায় বাঁধ সাধেন সূর্যকুমার যাদব ও শিভম দুবে। চতুর্থ উইকেটে সূর্যকুমার-দুবের নিরবচ্ছিন্ন ৭২ রানের জুটিতে জায় পায় ভারত। যদিও শুরুর দিকে সূর্যকুমার ও দুবে দুজনই নাসাউয়ের পিচে ভুগছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র তাদের সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে হয়ত ফলাফল অন্যরকমও হতে পারত। তবে ধীরে ধীরে নাসাউয়ের অদ্ভুতুড়ে পিচের সঙ্গে মানিয়ে নেন তারা।
৩ রান করা রোহিত শর্মা ও গোল্ডেন ডাক দেয়া বিরাট কোহলির উইকেট নেন পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের নায়ক সৌরভ নেত্রভালকার। ১৮ রান রিশভ পন্তকে শিকার করেন আলি খান।
এর আগে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করা যুক্তরাষ্ট্র নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১১০ রান করে। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই নাস্তানাবুদ হয় তারা। আর্শদীপ সিংয়ের করা প্রথম ওভারেই দুই উইকেট হারায় তারা।
৩ রানে ২ উইকেট হারানো দলকে পথ দেখান আজকের ম্যাচের অধিনায়ক আরন জোনস এবং স্টিভেন টেলর। তবে কোনো ঝুঁকি না নিয়েও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি জোনস। হার্দিক পান্ডিয়ার বলে টপএজ হয়ে ফাইন লেগে মোহাম্মদ সিরাজের হাতে ধরা পড়েন এই ব্যাটার।
শেষ দিকে বাকি ব্যাটারদের প্রচেষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্র ১১০ রান পর্যন্ত করতে পারে।
মন্তব্য করুন