পাকিস্তান ক্রিকেট দল যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিল আসরের অন্যতম ফেভারিট হিসেবে। তবে চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে বাবর-রিজওয়ানরা বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ার শঙ্কায়। টিকে থাকতে হলে অবশ্যই বাকি দুই ম্যাচ জিততেই হতো। এমন সমীকরণে অবশেষে জয়ের দেখা পেয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। তবে এই জয় আসরে টিকে থাকার জন্য যথেষ্ঠ হবে কি না তা সময় বলে দিবে।
মঙ্গলবার (১১ জুন) নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কানাডা-পাকিস্তানের বিশ্বকাপের ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে ৭ উইকেটে জয় পেয়েছে পাকিস্তান। প্রথমে ফিল্ডিং করে বোলারদের কৃতিত্বে কানাডাকে ১০৬ রানে আটকে ফেলে মেন ইন গ্রিনরা। জবাবে মোহাম্মদ রিজওয়ানের ফিফটিতে ১৫ বল হাতে রেখে জয় পেয়েছে পাকিস্তান।
বিশ্বকাপে টিকে থাকার আশা বাঁচিয়ে রাখার জন্য পাকিস্তানের এই ম্যাচে জয় লাগত। রিজওয়ানের কল্যানে সেটি এসেছে। এখন যদি শেষ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে বড় ব্যবধানে বাবরা হারাতে পারে তাহলে সুপার এইটে ওঠার সম্ভাবনা থাকবে। তবে সেক্ষেত্রেও বাবরদের যুক্তরাষ্ট্রের হার কামণা করতে হবে।
১০৭ রানের লক্ষ্যে পাকিস্তানের দুই ওপেনারের শুরুটা হয় সতর্ক। বাবরের জায়গায় ওপেনিংয়ে নামা সাইম আইয়ুব ফিরে যান দলীয় ২০ রানের মাথায়। অন্যদিকে অপরপ্রান্তে রিজওয়ান ঠাণ্ডা মাথায় খেলে গেছেন।
বিশ্বকাপে প্রথম দুই ম্যাচে কিছু করতে না পারলেও কানাডার বিপক্ষে এই ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন পাক দলপতি বাবর। ব্যাটিংয়ের জন্য কঠিন এই পিচে ৩৩ বলে ৩৩ রান করে দলকে জয়ের কাছে নিয়ে যান। তবে পাকিস্তান তখন জয় থেকে ২৪ রান দূরে তখন নিজের উইকেট বিলিয়ে দেন তিনি।
এই ম্যাচে অবশ্য দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন রিজওয়ান। কঠিন এই পিচে তার ব্যাট থেকে আসা ৫৩ রানই পাকিস্তানকে ম্যাচ জিতিয়েছে। অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছেড়েছেন তিনি।
এর আগে টস জিতে শুরুতে বোলিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে কানাডাকে ১০৬ রানে থামিয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের পক্ষে মোহাম্মদ আমির ও হারিস রউফ নেন দুটি করে উইকেট। আর কানাডার পক্ষে ওপেনার অ্যারন জনসন করেন সর্বোচ্চ ৫২ রান।
মন্তব্য করুন