টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রথমবারের মতো হারানোর দ্বারপ্রান্তে ছিল বাংলাদেশ। তবে একেবারে তীরে এসে তরী ডুবেছে টাইগারদের। বোলারদের দাপটে প্রোটিয়াদের ১১৩ রানে আটকে দিয়েও চার রানে ম্যাচ হারতে হয় টাইগারদের।
এ হারে বাংলাদেশের ব্যাটারদের দায় যেমন আছে, তেমনি রয়েছে প্রশ্নবিদ্ধ আম্পায়ারিংয়েরও। নেটিজেনদের দাবি বিতর্কিত আম্পায়ারিংয়ের কারণেই ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সাবেক ক্রিকেটার থেকে শুরু করে সাধারণ ক্রিকেট ভক্ত, সকলে প্রশ্ন তুলেছেন আম্পায়ারিং নিয়ে।
সোমবার (১০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় রাতে দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়ার ১১৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করছিল বাংলাদেশ। দ্রুত ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা টাইগারদের পথ দেখান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তাওহীদ হৃদয়। ১৭তম ওভার শুরুর সময় জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিলেন ২৪ বলে ২৭ রান।
কিন্তু নাটকীয় সব ঘটনা ঘটে ওটনিল বার্টম্যানের করা ইনিংসের ১৭তম ওভারে। প্রথম বলটি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের প্যাডে লেগে ফাইন লেগ দিয়ে চলে যায় বাউন্ডারির বাইরে। প্রোটিয়া ফিল্ডারদের আবেদনে সঙ্গে সঙ্গে আঙুল তুলে রিয়াদকে আউট ঘোষণা করেন আম্পায়ার।
দ্রুত রিভিউ নেন মাহমুদউল্লাহ। এতে দেখা যায় বলটি লেগ স্ট্যাম্পের অনেক বাইরে ছিল। ফলে বাধ্য হয়ে সিদ্ধান্ত বদলাতে হয় আম্পায়ারকে। রিভিউতে মাহমুদউল্লাহ আউট থেকে বাঁচলেও ক্ষতি হয়ে যায় চার রান হারিয়ে। আর এই চার রানেই ম্যাচ হারে টাইগাররা।
ম্যাচের সেই আউট নিয়ে বিশ্লেষকদের সঙ্গে সমালোচনায় মেতেছেন সামাজিকমাধ্যম ব্যবহারকারীরা। বাংলাদেশের ফেসবুক ব্যবহারকারীরা এ আউট নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বারবার। দাবি তুলেছেন আইসিসির এই অদ্ভুত নিয়ম পরিবর্তনের।
এক ব্যবহারকারী সরাসরি এ ম্যাচের আম্পায়ারদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ফেসবুকের বাইরেও সামাজিকমাধ্যমের আরেকটি প্ল্যাটফর্ম এক্সে (সাবেক টুইটার) বাংলাদেশের পক্ষে ভক্তরা পোস্ট করছেন। এক্সের অন্যতম বড় ক্রিকেটভিত্তিক অ্যাকাউন্ট ক্রিকজনস বাংলাদেশের পক্ষে পোস্ট করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জন্য কষ্ট লাগছে।
তার সেই পোস্টে বেশিরভাগ কমেন্টকারী বাংলাদেশের পক্ষে কথা বলেছেন। অন্য জায়গাতেও বাংলাদেশের পক্ষ নেওয়া হলেও অনেকেই আবার প্রশ্ন তুলেছে টাইগারদের ম্যাচ শেষ করার সামর্থ্য নিয়েও। কারণ আর যাই হোক ২৪ বলে ২৭ রানের ম্যাচ কারও পক্ষে হারার কথা নয়। যেখানে হাতে উইকেট ছিল ৫টি।
আরেক ব্যবহারকারী প্রশ্ন করেছেন এরকম আইন এখনো থাকবে কেন? তবে যাই হোক শান্ত-হৃদয়দের পক্ষে সমালোচনা হলেও এই ম্যাচের হতাশা বাংলাদেশকে পোড়াবে অনেক দিন।
মন্তব্য করুন