টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দ্রুত টপ অর্ডারের ৪ ব্যাটারকে হারিয়ে বাংলাদেশকে ১১৪ রানের টার্গেট দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ডেভিড মিলার ও হাইনরিখ ক্লাসেনের অর্ধশত রানের জুটিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১১৩ রান করে প্রোটিয়ারা।
তানজিম হাসান সাকিব ও তাসকিন আহমেদের গতিময় বোলিংয়ে দুর্দান্ত শুরু করেছিল বাংলাদেশ। দুই পেসারের দাপুটে বোলিংয়ে মাত্র ২৩ রানে টপ অর্ডারের চার ব্যাটারকে হারিয়ে ধুঁকছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
সেখান থেকে প্রোটিয়াদের ম্যাচে ফেরান ডেভিড মিলার ও হাইনরিখ ক্লাসেন। দুজনের অর্ধশত রানের জুটিতে বড় সংগ্রহ পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। যদিও সুযোগ দিয়েছিলেন মিলার। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের প্রথম বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
১৬ বলে ১৩ রানে ব্যাট করতে থাকা মিলারের সেই ক্যাচ লুফে নিতে ব্যর্থ হন উইকেটকিপার লিটন কুমার দাস। ক্লাসেনকে নিয়ে ৭৯ বলে ৭৯ রানের জুটি গড়েন তিনি। ব্যক্তিগত ৪৬ রানে তাসকিনের বলে বোল্ড হন ক্লাসেন। আর ব্যক্তিগত ২৯ রানে রিশাদ হোসেনের বলে বোল্ড হন মিলার।
এর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুর্দান্ত শুরু করেছিল বাংলাদেশ। পাওয়াল প্লে’র মধ্যে প্রোটিয়াদের টপ অর্ডারের ৪ ব্যাটারকে সাজঘরে ফিরিয়েছিলেন তানজিম ও তাসকিন।
নিউইয়র্কের নাসাউ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রিজা হেনড্রিকস দিয়ে শুরু তানজিমের আঘাত। ডানহাতি এই ওপেনারকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন তিনি। দলীয় ১৯ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। ১১ বলে ১৮ রান করা কুইন্টন ডি কককে বোল্ড করেন ডানহাতি এই পেসার।
এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার শিবিরে আঘাত হানেন তাসকিন। প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্করামকে বোল্ড করেন বাংলাদেশের সহ-অধিনায়ক। ২৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা।
টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামা প্রোটিয়াদের সেই চাপ আরও বাড়ান তানজিম। তার বলে কাভারে ট্রিস্টান স্টাবসের ক্যাচ লুফে নেন সাকিব আল হাসান। চতুর্থবারের মতো ২৩ বা এর কম রানে চার উইকেটে হারিয়েছে প্রোটিয়ারা।
৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন তানজিম। এটি তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে তাসকিনের শিকার ২ উইকেট।
মন্তব্য করুন