বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই সাফল্যর মূল নায়ক নিশ্চিত ভাবে বোলাররা। লঙ্কানদের মতো প্রতিপক্ষকে ১২৪ রানে বেধে ফেলার কারণেই আজ ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মুখে হাসি। আর এই হাসি এনে দেওয়ার সবেচেয়ে বড় কারিগর নিঃসন্দেহে তরুণ লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনের। স্বাভাবিকভাবেই রিশাদের হাতেই উঠেছে ম্যাচ সেরার পুরষ্কার।
শনিবার (৮ জুন) ডালাসের গ্রান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের জয়ের সবচেয়ে বড় নায়ক নিঃসন্দেহে রিশাদ হোসেন। তার ৪ ওভারের দুর্দান্ত স্পেলই ঠিক করে দেয় ম্যাচের গতিপথ। রিশাদের আগমনে একজন ভালো মানের লেগ স্পিনারের জন্য পুরো বাংলাদেশের যে অপেক্ষা সেটি হয়তো পূরণ হবে এবার।
আজকের ম্যাচে ২২ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়ে যেন বিশ্ব ক্রিকেটে নিজের আগমনের বার্তাই দিলেন এই লেগ স্পিনার। ম্যাচশেষে রমিজ রাজার কাছ থেকে ম্যাচসেরার পুরস্কার নেওয়ার সময় তাই হয়তো রিশাদের ঠোঁটের কোণে দেখা গেল তৃপ্তির হাসি। সে হাসি দলেল জয়ের পাশাপাশি বিশ্বকাপে নিজের অভিষেক ম্যাচে সেরা খেলোয়াড় হওয়াতেও।
লঙ্কান ইনিংসের ১৫তম ওভারে এসে আসালাঙ্কা-ধনাঞ্জয়ার প্রতিরোধ ভেস্তে দেন রিশাদ। প্রথম ২ ওভারে ১৬ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকলেও পরের ২ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। লঙ্কানদের বড় সংগ্রহের স্বপ্ন শেষ করার পাশাপাশি ম্যাচের মোমেন্টামওটা বাংলাদেশের দিকে নেন তিনি।
ইনিংসের ১৫তম ওভারের প্রথম বলেই রিশাদকে স্লগ সুইপে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে সাকিবের হাতে ধরা পড়েন আসালাঙ্কা। পরের বলে লঙ্কান অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে আউট করে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগান রিশাদ। সেটি না হলেও বাংলাদেশের দর্শকদের মনে থাকবে তা অনেকদিন।
ম্যাচসেরার প্রতিক্রিয়ায় তিনি ওই স্পেল সম্পর্কে বলেন, ‘পিচ বোলিং করার জন্য খুব ভালো ছিল। আমি দলে অবদান রাখতে চেয়েছিলাম।’
১৫তম ওভারে হ্যাটট্রিক সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন রিশাদ। সেটি না হলেও তার ওই জোড়া আঘাতই মূলত ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। রিশাদ বলেন, ‘ওই সময় (হ্যাটট্রিক সম্ভাবনার বলে)আমি চেষ্টা করেছিলাম ভালো জায়গায় বল করতে। সবকিছু স্বাভাবিকই ছিল।’
রিশাদ ব্যাট হাতে আজ ব্যর্থ হলেও দলের জয়ের সিংহভাগ কৃতিত্ব কিন্তু তার ওই স্পেলেরই।
মন্তব্য করুন