বুড়ো হাড়ে ভেলকি দেখালেন মাহমুদউল্লাহ। হৃদয়ের দারুণ শুরুর পর শেষ মুহূর্তে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশের ত্রাতার ভূমিকায় আবার সেই মাহমুদউল্লাহ।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার দেওয়া ১২৫ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে টপ অর্ডারের তিন কান্ডারি তানজিদ, সৌম্য ও শান্তকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ।
তানজিদ ৬ বলে ৩ রান করে বোল্ড হন। সৌম্য বরাবরের মতোই ডাক মেরে ফেরেন সাজঘরে। অধিনায়ক শান্তর খেলাটা ঠিক যেন অধিনায়কসূলভ ছিল না। আনলাকি থার্টিন বলে রান করেন লাকি সেভেন। একপাশে উইকেট আগলে রেখে দেখে শুনে খেলতে থাকেন দীর্ঘদিন ধরে রান খরায় ভোগা লিটন দাস। শেষমেশ ৩৮ বলে ৩৬ রান করে ফেরেন তিনি।
ক্রিজে আসেন তাওহীদ হৃদয়। দেখে শুনেই খেলতে থাকেন তিনি। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি এই ব্যাটার। টি-টোয়েন্টি মেজাজে জ্বলে ওঠেন তিনি। মূলত রান ও বলের ব্যবধান কমাতে তিনিই ভূমিকা রেখেছেন। হাসারাঙ্গার এক ওভারে পর পর তিন বলে তিনটি ছক্কার মার মারেন তিনি।
কিন্তু চতুর্থ বলে খেই হারিয়ে ফেলে লেগ বিফোর উইকেট হয়ে ফিরে যান তিনি। কিন্তু ততক্ষণে শ্রীলঙ্কার যেটুকু ক্ষতি করার সেটুকু করেই দেন তিনি। ২০ বলে আউট হওয়ার আগে তিনি ডাবল স্ট্রাইক রেটে ৪০ রান করেন।
ঠিক যে মুহূর্তে জয়ের সুবাস পাচ্ছিল টিম টাইগার ঠিক তখনি শ্রীলঙ্কার বোলারদের তোপে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়তে থাকে বাংলাদেশের উইকেট স্তূপ। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার বাংলাদেশের পোস্টার বয় সাকিব ফেরেন ১৪ বলে ৮ রান করে। রিশাদ বোল্ড হন ৩ বলে ১ রান করে। পরে তাসকিনও দাঁড়াতে পারেননি উইকেটে। প্রথম বলেই লেগ বিফোর উইকেট হয়ে ফেরেন তিনি।
তবে একপাশে প্রাচীরের মতো দাঁড়িয়ে ছিলেন সাইলেন্ট কিলার মাহমুদউল্লাহ। শ্রীলঙ্কাকে দেখালেন বুড়ো হাড়ের জোর। যদিও নিদাহাস ট্রফিতেও এই মাহমুদউল্লাহর ভেলকি একবার দেখেছিল শ্রীলঙ্কা। এবার বিশ্বকাপের আসরেও শ্রীলঙ্কার চোখের পানির কারণ হলেন সেই মাহমুদউল্লাহ। স্কোরটা তার খুব বেশি বড় না হলেও ১৩ বলের ১৬ রানটা যেন শেষ মুহূর্তে বাংলাদেশের জন্য সেঞ্চুরির সমান ছিল। ১৬ রানের মধ্যে ছিল এক ছক্কা। দেখে শুনে খেলে নিজে দায়িত্ব নিয়ে টাইগারদের জয়ের নোঙর তীরে ভেড়ান ‘বুড়ো’ এই ব্যাটার।
এর আগে ব্যাটে নেমে শ্রীলঙ্কা উড়ন্ত সূচনা করলেও বাংলাদেশের বোলিং তোপে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে তাদের ব্যাটিং লাইন আপ। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান তোলে তারা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ স্কোর করেন পাথু, নিশাংকা। ২৮ বলে ৪৭ রান করেন তিনি।
বাংলাদেশের হয়ে রিশাদ ও মুস্তাফিজ তিনটি করে উইকেট নেন।
মন্তব্য করুন