গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল আইসিসির দুই সহযোগী দল উগান্ডা ও পাপুয়া নিউগিনি। দুই সহযোগী দেশের এই ম্যাচে নতুন এক ইতিহাস গড়েছে উগান্ডা। বিশ্বকাপে নিজেদের ইতিহাসের দ্বিতীয় ম্যাচেই প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে আফ্রিকার দেশটি। তবে শুধু উগান্ডা নয় ইতিহাস গড়েছে উগান্ডার অফস্পিনার ফ্র্যাঙ্ক এনসুবুগাও।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) পাপুয়া নিউগিনিকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে উগান্ডার। উগান্ডার ঐতিহাসিক এই জয়ের ম্যাচে তাদের জার্সিতে বিশ্বকাপে অভিষেক হলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেরে ম্যাচ খেলা সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড়ের। বলা হচ্ছে ফ্রাঙ্ক এনসুবুগার কথা।
৪৩ বছর বয়সী এই অফ স্পিনার বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ম্যাচ খেললেন। আর এতেই ১৯৯৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু করা এনসুবুগার একটি স্বপ্নও পূরণ হলো। শুধু দলীয় ইতিহাসই নয়, পারফরম্যান্স দিয়েও রেকর্ডবুকে নিজের নামটা লিখলেন এই চিরতরুণ।
43-YEAR-OLD FRANK NSUBUGA CREATED HISTORY - Playing for Uganda, he went for just 4 runs from 4 overs by taking 2 wickets. Most economical four over spell in Men's T20I World Cup history. pic.twitter.com/SqykSD93Wy — Johns. (@CricCrazyJohns) June 6, 2024
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে কম খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ডটি নিজের করে নিয়েছেন এনসুবুগা। আজকের ম্যাচে চার ওভার বল করে ২০টি ডট বলে মাত্র ৪ রান দিয়েছেন তিনি। সঙ্গে বাড়তি পাওনা হিসেবে আছে দুইটি উইকেটও। বিশ্বকাপে পূর্ণ চার ওভার বল করে এর চেয়ে কম রান দেয়ার রেকর্ড নেই আর কারোরই। তার ২০টি ডট বলও এক ইনিংসে সর্বোচ্চ।
ক্রিকেটে অনেকেই এতটুক পেয়েও সুখে থাকে তবে এনসুবুগা এই বিশ্বকাপ থেকে আরো বেশি চান। বিশ্বকাপে দুজন বিশেষ খেলোয়াড়ের উইকেট যে দরকার তার তারা হলেন ক্যারিবিয়ান দানব আন্দ্রে রাসেল ও নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসনের উইকেট। তার দাবি এই দুটি উইকেট পেলে তিনি নাকি সবচেয়ে সুখী মানুষ হবেন।
এগুলো পেলেও আরেকটি রেকর্ড অল্পের জন্য পাওয়া হয়নি তার তা হলো সবচেয়ে বেশি বয়সী ক্রিকেটোর হিসেবে বিশ্বকাপে উইকেট পাওয়ার। আজকের ম্যাচ খেলার সময় এনসুবুগার বয়স ছিল ৪৩ বছর ২৮২ দিন। এরচেয়ে বেশি বয়সে উইকেট পেয়েছেন কেবল হংকংয়ের রায়ান ক্যাম্পবেল। ২০১৬ বিশ্বকাপে ৪৪ বছর ৩২ দিনে আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবীর উইকেট পেয়েছিলেন তিনি।
মন্তব্য করুন