এবারের টি-২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সাথে একই গ্রুপে অবস্থান করছে নেপাল ও নেদারল্যান্ডস। ধারনা করা হচ্ছিল, এই দুটি ম্যাচ বাংলাদেশের জন্য বেশ সহজ হতে যাচ্ছে। তবে সেই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করেছে দল দুটি। মঙ্গলবার ডালাসে মুখোমুখি হয়েছিল নেপাল ও নেদারল্যান্ডস। লো স্কোরিং সেই ম্যাচে দল দুটি যেভাবে লড়াই করেছে তাতে কাউকে দূর্বল প্রতিপক্ষ ভাবার কোনো সুযোগ নেই বাংলাদেশের জন্য।
ম্যাচের শুরুতেই পুরো ডালাস স্টেডিয়াম প্রায় সবটাই দখল করে নিয়েছিল লাল-নীল জার্সিধারী নেপালীরা। ম্যাচটি ডালাসে হচ্ছে নাকি কীর্তিপুরে বোঝার উপায় ছিল না। এত এত সমর্থন সাথে নিয়ে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেও নেপাল মাত্র ১০৬ রানেই গুটিয়ে যায়। তবে দর্শকদের একেবারে হতাশ করে নি দলটি। মাত্র ১০৬ রানের পুজিঁ নিয়েও যে লড়াই করা যায় তাই যেন দেখিয়ে দিল এশিয়ার দেশটি। ছোট্ট রান তাড়া করতে নেমেই নেদারল্যান্ডসকে হারাতে হয়েছে চারটি উইকেট। খেলতে হয়েছে প্রায় উনিশ ওভার।
দুই দলের এমন লড়াকু মনোভাব সত্যিই প্রশংসনীয়। স্মৃতির পাতায় ফুটে উঠবে এক যুগ আগের বাংলাদেশ দলের খেলা। যখন ছিল না আজকের লিটন সৌম্যর মতো এত প্রতিভাবান ক্রিকেটার ছিল কেবল শুধু জয়ের ক্ষুধা, হার না মানা এক মানসিকতা। যেই দলটা ২০০৭ বিশ্বকাপে পরাশক্তি ওয়েষ্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পেয়েছিল জয়। টি-২০ বিশ্বকাপে সেটিই বাংলাদেশের এখনও পর্যন্ত সবথেকে বড় প্রাপ্তি।
এবারের বিশ্বকাপে নেপাল ও নেদারল্যান্ডস খুব বড় কোনো নাম নয়। তবে ম্যাচের দিন তারা যেকোনো কিছুই করতে পারে। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে এই নেদারল্যান্ডস এর কাছেই লজ্জার পরাজয় গ্রহন করেছিল বাংলাদেশ। তাই নেদারল্যান্ডস কোনোভাবেই বাংলাদেশের জন্য সহজ প্রতিপক্ষ নয়। এবার সাথে যোগ হলো নেপালের নাম। তাই অনুমিত ভাবেই এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে দিতে হবে কঠিন পরীক্ষা।
নেপাল ও নেদারল্যান্ডস ম্যাচের আগে নেপাল অধিনায়ককে তার কঠিন প্রতিপক্ষ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল, সেখানে নেপাল অধিনায়ক বাংলাদেশের নামই নেয় নি। তাইতো প্রশ্নটা থেকেই যায়, নেপালও কি বাংলাদেশকে কঠিন প্রতিপক্ষ মানছে না? অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সিরিজ হারা এই বাংলাদেশকে কঠিন প্রতিপক্ষ ভাবার তেমন কোনো সুযোগও থাকে না। তাইতো স্পষ্টতই বলা যায়, নেপাল ও নেদারল্যান্ডস বাংলাদেশের জন্য বেশ কঠিন প্রতিপক্ষ হতে চলেছে।
মন্তব্য করুন