দেশের জার্সি! শুধুই কি কাপড়ের তৈরি একটি পোশাক মাত্র? না, তা মোটেই নয়! দেশ এবং জাতিসত্তাকে বিশ্ব দরকারে পরিচিত করার মাধ্যম হচ্ছে জার্সি। তাই তো জার্সিগুলো হতে হয় গৌরব ও ঐতিহ্যের ধারক। এ জন্য এটি সমর্থকদের কাছে ভালোবাসার প্রতীক।
হোক ফুটবল কিংবা ক্রিকেট, প্রতিটি বিশ্বকাপ এলেই সমর্থকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে প্রিয় দলের জার্সি। সন্নিকটে আরেকটি বিশ্বকাপ, তাই জার্সি নিয়ে সমর্থকদের আগ্রহ আকাশছোঁয়া। তবে প্রতিবারই জার্সি নিয়ে হয় ব্যাপক নাটকীয়তা, এবার হয়েছে ঠিক তেমনি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করার আগেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় লাল-সবুজের একটি জার্সি। ছবিতে জার্সির কোয়ালিটি ও ডিজাইন দেখে হতাশ হন অনেকেই। সে বিষয়ে ক্রিকেট বোর্ড কোনো বক্তব্য না দিলেও এবার উন্মোচন করা হলো টাইগারদের অফিসিয়াল বিশ্বকাপ জার্সি।
তবে মজার বিষয় হচ্ছে- যে জার্সিটি কিছুদিন আগে ভাইরাল হয়েছিল, সেটিই আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের টাইগারদের জার্সি। আর স্বাভাবিকভাবেই ইতিবাচক ও নেতিবাচক মন্তব্যে ভরে গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
শান্ত-তাসকিনদের বিশ্বকাপ জার্সিটি মনে ধরেনি ভক্ত-সমর্থকদের। লাল-সবুজের মিশেলে প্রকাশিত জার্সিটি নিয়ে সমর্থকদের নেতিবাচক মন্তব্যের সংখ্যাই বেশি। ক্রিকেট গেম থেকে নকল করা হয়েছে এই জার্সি।
আবার কেউ কেউ তো বলছেন নতুন এই জার্সি ডিজাইন করা হয়েছে গুলিস্তানের কোনো লোকাল দোকান থেকে। এবারে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জার্সি জাদুঘরে রাখার প্রস্তাব তুলছেন অনেকে।
জার্সি ডিজাইনারকে নোবেল দেওয়াও দাবি তুলেছেন অনেক নেটিজেনরা। অনেকে আবার জানান চাইলে এর চেয়ে ভালো ডিজাইন করতে পারবেন অনেকে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ দলের পারফরমেন্সে এমনিতেই হতাশ টাইগার সমর্থকরা। এবারের বিশ্বকাপ জার্সিকেও সেই হতাশার সঙ্গেই তুলনা করছে সমর্থকদের একাংশ।
অনেকে বলছেন জার্সি নিয়ে সমালোচনা থেকে বাঁচতে মধ্যরাতে প্রকাশ করা হয়েছে বিশ্বকাপের জার্সি। এর আগেও জার্সি নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ জার্সিকে শুরুতে লাল রং না থাকায় অনেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে তুলনা করতে ছাড়েননি।
এরপর ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জার্সি অনলাইন থেকে নকল করার গুঞ্জন উঠেছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তাই এই সমালোচনা যে যুগের পর যুগ ধরেই বাংলাদেশ ক্রিকেটে চলবে এটা স্বাভাবিকভাবেই ধরে নেওয়া যায়।
তবে এই সকল সমালোচনা থামাতে পারেন শুধু শান্ত-লিটনরাই। সেটি মুখের কথায় নয়, বরং মাঠেই নিজেদের ব্যাট-বলের হাতে দিতে হবে সকল জবাব।
মন্তব্য করুন