টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশ ঠিক নতুন নয়। সেই ২০০৬ সাল থেকে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটে বিচরণ টিম টাইগার্সের। তবে প্রায় ১৮ বছর ধরে খেলেও ক্রিকেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফরম্যাটটিকে আয়ত্তে আনতে পারেনি বাংলাদেশের টাইগাররা। যার প্রমাণস্বরূপ দশ ধাপ পিছিয়ে থাকা দল যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে লজ্জার সিরিজ হার। লজ্জাজনক এই সিরিজ হারের পাশাপাশি আরও বিব্রতকর এক রেকর্ড নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনে প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে স্বাগতিক দলের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৬ রানে হেরে সিরিজ খুইয়েছে বাংলাদেশ। আর এতে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথম দল হিসেবে একশ ম্যাচ হারের লজ্জার রেকর্ড গড়ল টিম টাইগার্স।
প্রথম দল হিসেবে লজ্জার এই রেকর্ডটিতে নাম লেখাতে ত্রিমুখী লড়াই চলছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের মধ্যে। তবে আইসিসির সহযোগী এই দেশের বিপক্ষে টানা দুই হারে আগেভাগেই লজ্জার রেকর্ডটা নিজেদের করে নিল বাংলাদেশ।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ইতিহাস শুরু ২০০৬ সালের নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে। মাসের শুরুতে ঘরের মাটিতে একই দলের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজের শেষে সেই সংখ্যাটা দাঁড়ায় ১৬৬তে। তখন বাংলাদেশের ফলাফল ছিল ৬৪ জয় ও ৯৮ হার। আর চারটি ম্যাচে আসেনি কোনো ফল।
তবে লজ্জার ব্যাপার হলো র্যাঙ্কিংয়ের বাংলাদেশের চেয়ে দশ ধাপ পিছিয়ে থাকা দল যুক্তরাষ্ট্র যাদের ক্রিকেট কাঠামো না থাকার মতোই। তাদের মতো দলের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচে হারে পরাজয়ের সেঞ্চুরি পূরণ করল টাইগাররা। জয়ের সংখ্যা না বাড়লেও ১৬৮ ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের হার এখন ১০০।
অথচ লজ্জার রেকর্ডটি নিজেদের করে নেওয়ার দ্বারপ্রান্তে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ শুরু হওয়ার আগে মোট ১৯৩ টি-টোয়েন্টিতে খেলে ৯৯টিতে হার দুই বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। কাছাকাছি ছিল শ্রীলঙ্কাও। এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্রের দেশটি ১৮৯ ম্যাচ খেলে ৯৮টি ম্যাচে হেরেছে। এ তালিকার চতুর্থ স্থানে আছে জিম্বাবুয়ে। ১৪৫ ম্যাচ খেলে ৯৫ হার তাদের। ২১৬ ম্যাচ খেলে ৯০ হার নিয়ে পাঁচে আছে নিউজিল্যান্ড।
অন্যদিকে টি-টোয়েন্টিতে ১০০ বা তার বেশি ম্যাচ জয়ের রেকর্ড আছে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের। সর্বোচ্চ ১৪০ জয়ে যৌথভাবে শীর্ষে আছে ভারত ও পাকিস্তান।
মন্তব্য করুন