আর মাত্র সপ্তাহখানেক পরেই যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে মাঠে গড়াবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। বৈশ্বিক এই আসরের আগে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত আসরটিতে অংশ নিতে যাওয়া ২০ দেশ। তবে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটের বিশ্বকাপের আগে অন্য সব দলের চেয়ে রীতিমতো হতশ্রী চেহারা বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের।
বিশ্বকাপের আগে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে এবং যুক্তরাষ্ট্রের অচেনা উইকেটে মানিয়ে নিতেই স্বাগতিক দেশটির বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে বাংলাদেশ। তবে র্যাঙ্কিংয়ে ১০ ধাপ পেছনের দল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পরপর দুই ম্যাচে ব্যর্থ হয়ে সিরিজ হারের লজ্জায় পরতে হয় বাংলাদেশকে। বিশ্বকাপের আগে ক্রিকেটে নতুন এক দেশের কাছে এরকম হার অনেক ইস্যু সামনে নিয়ে আসে। তবে বাংলাদেশের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার দলের এমন করুণ পরিণতির পেছনে দেখছেন অন্য কারণ।
এমনিতেই বড় এই আসরের আগে জিম্বাবুয়ে ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো দলের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে চাওয়াটাকে ভালো চোখে দেখেননি কেউই। স্বয়ং সাকিবই বলেছিলেন তা। তবে সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ তবু জিতেছিল এবার তো সরাসরি পরাজয়।
নাজমুল হোসেন শান্তর দলের পারফরম্যান্স নিয়ে আক্ষেপ থাকতে পারে অনেকেরই তবে আইসিসির কোন সহযোগী দেশের বিপক্ষে সিরিজ হারতে হবে এই কথা নির্ঘাত দুঃস্বপ্নেও কেউ কল্পনা করেনি। প্রথম ম্যাচের হারের কারণ হিসেবে অপরিচিত উইকেট আর কন্ডিশনের অজুহাত দেওয়া হলেও দ্বিতীয় ম্যাচের কি অজুহাত?
যেখানে বর্তমানে টি-টোয়েন্টিতে রানের পর রান হচ্ছে, সেখানে ১৪৫ রান করতেও ব্যর্থ বাংলাদেশ। তাই ৬ রানে ম্যাচ হারের পর টাইগারদের হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা সাকিব আল হাসানের কাছে জানতে চাওয়া হয় দলের এই অবস্থার কারণ। সেখানে তিনি হারের কারণ হিসেবে দায়ী করেছেন পর্যাপ্ত অনুশীলনের ঘাটতিকে। ব্যাটারদেরও দায় দিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘ম্যাচের আগে আমরা একদির প্রোপার নেট সেশন পেয়েছি। তাও ব্যাটারদের যতটুকু ব্যাটিং অনুশীলন করার দরকার ছিল তারা সেটা করতে পারেনি। আমার কাছে সেটাকে আদর্শ মনে হয়নি। একদিন ছিল ঐচ্ছিক, সেখানে ব্যাটাররা সুযোগ নেয়নি। আপনি দুটোতেই দোষ দিতে পারেন। যেদিন সুযোগ ছিল সেদিন কেন ব্যাটাররা এসে ব্যাটিং করল না! আবার এটাও বলতে পারেন, যেহেতু আমরা (বিশ্বকাপের) প্রস্তুতিমূলক সিরিজ হিসেবে নিয়েছিলাম, কেন আমরা এ সুবিধাগুলোগুলো নিতে পারলাম না। দুই দিকেরই ব্যর্থতা আছে। এই জিনিসগুলো আমাদের অনেক ভালো হওয়ার দরকার ছিল।’
প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেটের ব্যবধানে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ৬ রানের হার। যুক্তরাষ্ট্রের মতো দলের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ খোয়ানোটাকে হতাশাজনক বলে উল্লেখ করেছেন সাকিব তবুও যুক্তরাষ্ট্রকে কৃতিত্ব দিতেও ভোলেননি তিনি।
সাকিব বলেন, ‘আসলে এটা কেউই প্রত্যাশা করেনি। আমার ধারণা, কেউই ভাবেনি আমরা দুইটা ম্যাচ হেরে যাব। সেখান থেকে তো অবশ্যই হতাশাজনক। যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে খেলেছে তাদের কৃতিত্ব দিতে হয়।’
এছাড়াও টপ অর্ডারের ব্যর্থতা নিয়ে সাকিব জানান, এ বিষয়ে তার কাছে কোনো উত্তর নেই।
বিশ্বকাপের মূল মিশনের আগে বাংলাদেশের আপাতত ২৫ মে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশের বড় লজ্জা এড়ানোই লক্ষ্য।
মন্তব্য করুন