গত মাসের শেষ দিকে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলে (আইসিসি) টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রাথমিক দল পাঠায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে রাখা হয়েছিল সেই দলে।
মঙ্গলবার (১৪ মে) টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করে বিসিবির নির্বাচক প্যানেল। সেই দলে রাখা হয়নি ডানহাতি এই অলরাউন্ডারকে। এমনকি রিজার্ভ তালিকাতেও জায়গা হয়নি তার।
সদ্য শেষ হওয়া জিম্বাবুয়ে সিরিজের ৪ ম্যাচে তিনি শিকার করেন ৮ উইকেট। এরপরও বিশ্বকাপ দলে জায়গা হয়নি তার। সাইফউদ্দিনের পরিবর্তে সুযোগ হয়েছে আরেক পেসার তানজিম হাসান সাকিবের। জিম্বাবুয়ে সিরিজে ২ ম্যাচে তার শিকার মাত্র ১ উইকেট।
দুজনের মধ্যে কেন তানজিমকে বেছে নেওয়া হয়েছে, এর ব্যাখ্যায় প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু বলেন, ‘সবাই খুব কাছাকাছি লড়াই করেছে। যে দলটা দিয়েছিলাম ৩০ তারিখে, সেটা আমরা এক প্রেক্ষাপটে দিয়েছিলাম। সেখানে দুটো চিন্তা ছিল। আমরা চেয়েছি বর্তমান ক্রিকেটারদের নিয়েই দল করা।’
এ পর্যায়ে বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক আরও বলেন, ‘একটা চিন্তা ছিল ইনজুরি থেকে ফেরা ক্রিকেটাররা, যেমন সাইফউদ্দিন কেমন করে, তা দেখা। আমাদের যে আস্থার জায়গাটা, সেখানে সাইফউদ্দিনের চেয়ে তানজিম একটু এগিয়ে ছিল। এ জন্য ওকে (তানজিম) আমরা দলে রেখেছি।’
ডেথ ওভারের বোলিং সামর্থ্যে এগিয়ে থাকায় তানজিম সাকিব বিবেচিত হয়েছেন বলে আভাস দিয়ে প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘সাকিবকে (তানজিম হাসান) শ্রীলঙ্কা সিরিজেও আমরা দেখেছি। তার একাগ্রতা, মাঠে নিজেকে নিংড়ে দেওয়ার চেষ্টা সাইফউদ্দিনের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে রেখেছে। আমরা সাইফউদ্দিনের দিকে তাকিয়ে ছিলাম যে কারণে- ডেথ ওভারে ইয়র্কার করা, সেটা ঘরোয়া ক্রিকেটে যেমন ছিল, তার চেয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একটু ব্যতিক্রম মনে হয়েছে। তাই আমরা একটু ভিন্ন চিন্তা করেছি। ৩০ তারিখে যে দলটা দিয়েছিলাম, সেখান থেকে একমাত্র এ জায়গাটাতেই পরিবর্তন হয়েছে।’
গাজী আশরাফ হোসেন লিপু আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কে কখন উইকেট পাচ্ছে, তা দেখতে হবে। সাইফউদ্দিনকে যে জায়গায় দরকার হতো, সেটা পরখ করে দেখেছি। শেষ দুটি ম্যাচে দুজন পেসার নিয়ে খেলেছি। সেখানে সাইফউদ্দিন কিছু কিছু জায়গায় আস্থার প্রতিদান দিতে পারেনি।’
জাতীয় দলের ক্রিকেটারকে নিয়ে নেতিবাচক কথা বলতে রাজি নন প্রধান নির্বাচক। যারা সুযোগ পাননি (সাইফউদ্দিন), নিজেকে প্রমাণ করে ভবিষ্যতে আবারও জাতীয় দলে ফিরবেন বলে প্রত্যাশা গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর।
মন্তব্য করুন