বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের মধ্যকার টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের ১০ ওভার শেষে অনেকের কাছে মনে হতে পারে প্রথম ম্যাচের হাইলাইটস দেখছেন কি না। প্রথম ম্যাচের মতো সফরকারীরা দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল। মনে হচ্ছিল প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও সল্প রানেই গুটিয়ে যেতে হবে রোডেশিয়ানদের। তবে প্রথম ম্যাচে মান্দানে ও মাসাকাদজার মতো ২য় ম্যাচে দাড়িয়ে গেলেন ব্রায়ান বেনেট ও অভিষিক্ত জোনাথান ক্যাম্পবেল। এই দুইজনের ব্যাটে চড়ে লড়াই করার মতো পুঁজি পেয়েছে সিকান্দার রাজার দল।
রোববার (৫ মে) চট্টগ্রামের সাগরিকায় জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের মধ্যকার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস হেরে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৮ রান করেছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের পক্ষে অভিষিক্ত জোনাথন ক্যাস্পবেল ৪৫ রান করেন। টাইগারদের পক্ষে তাসকিন ও রিশাদ নেন দুইটি করে উইকেট।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে এই ম্যাচেও ব্যর্থ জিম্বাবুয়ের টপ অর্ডার। প্রথম পাঁচ ব্যাটারের মধ্যে মাত্র দুইজনের ব্যাটে দশের উপরে রান করতে পেরেছেন। আগের ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও বাজে শুরু সফরকারীদের।
টস জিতে বাংলাদেশ দলপতি নাজমুল হোসেন শান্ত বোলিং বেছে নিলে অধিনায়কের সিদ্ধান্তের যোগ্য প্রতিদান দেন বাংলাদেশের বোলাররা। পাওয়ার প্লেতে রীতিমতো সফরকারীদের চেপে ধরে তাসকিন-শরিফুলরা। ৬ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ছিল মাত্র ২২ রান। এরপরের ৪ ওভারেও খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি সফরকারীদের রান ১০ ওভার শেষে চার উইকেট হারিয়ে ৩৮ রান করতে পারে সিকান্দার রাজার দল। ১১ ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে ৪৫ রান ওঠতেই পাঁচ উইকেট নেই। তাসকিন, সাইফউদ্দিন, শেখ মেহেদী একটি করে উইকেট নিলেও রিশাদ হোসেন দখলে নেন জোড়া শিকার। মেহেদী পেতে পারতেন আরো একটি উইকেট তবে সহজ ক্যাচ ছাড়েন উইকেটকিপার জাকের আলী অনিক।
এরপর অবশ্য ইনিংসে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় জিম্বাবুয়ে। ব্রায়ান বেনেটকে নিয়ে অভিষিক্ত জোনাথন ক্যাম্পবেল ৭৩ রানের জুটি গড়েন, তাও কেবল ৪৩ বলে। ২৪ বলে ৪৫ রানের ক্যামিও ইনিংসে জোনাথন যখন প্যাভিলিয়নে ফেরত যান তখন জিম্বাবুয়ের রান ১১৫।
১৯৯৭ সালে জোনাথনের বাবা অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেলেরও অভিষেক হয়েছিল এই বাংলাদেশের বিপক্ষেই। সে ম্যাচে তিনি অবশ্য ৩১ বলে করেছিলেন ২৯ রান। আজ তার ছেলে একই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অভিষেক ম্যাচে পেয়েছেন ৪৫ রান। দারুণ খেলতে থাকে জোনাথনকে অবশ্য আক্ষেপ নিয়েই ফিরতে হয় প্যাভিলিয়নে। শরিফুলের যে বলে ক্যাচ হয়েছেন, তা চালিয়েছেন বাউন্ডারির জন্যে।
পরের ওভারে লুক জঙ্গেকে ফিরিয়ে তাসকিন আহমেদ দখলে নেন নিজের দ্বিতীয় শিকার। উইকেটের এক প্রান্তে টিকে থাকা ব্রায়ান বেনেট শেষদিকে সঙ্গী হিসাবে পান অ্যান্সলে লোভুকে। তাকে নিয়েই শেষ করে আসেন ইনিংসের বাকি অংশ। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে জিম্বাবুয়ে করল ১৩৮ রান।
মন্তব্য করুন