জুনের বিশ্বকাপের আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠের সিরিজ দিয়ে বিশ্বকাপ প্রস্তুতির সিংহভাগ সম্পন্ন করবে বাংলাদেশ। সেই উপলক্ষেই জিম্বাবুয়ের সাথে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ আয়োজন। আর সেই সিরিজের প্রথমটিতে অবশ্য বাংলাদেশের শুরুটা ভালোই করে। অবশ্য সেই শুরুটা ধরে রাখতে পারেনি টাইগার বোলাররা। দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৪১ রানে জিম্বাবুয়ে ৭ উইকেট হারিয়েও শেষ পর্যন্ত লড়াই করার মতো এক স্কোর পেয়েছে।
শুক্রবার (৩ মে) চট্টগ্রামের সাগরিকায় জহুর আহমেদ চৌধুরী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২৪ রানে অলআউট হয় সফরকারী জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিন ও সাইফউদ্দিন সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন।
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ে দল সুযোগ না পেলেও টি-টোয়েন্টি তারা ফেলে দেওয়ার মতো প্রতিপক্ষ নয়। সর্বশেষ দেখাতেও বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছিল আফ্রিকার দেশটি। আজকের ম্যাচেও ভালো শুরু করেছিল সিকান্দার রাজার দল।
শরীফুল ইসলামের করা ইনিংসের প্রথম বলই চার মেরে শুরু করেন জিম্বাবুয়ের ওপেনার জয়লর্ড গাম্বি। দ্বিতীয় ওভারেই অবশ্য আঘাত হানে বাংলাদেশ। শেখ মেহেদি বোল্ড হন আরেক ওপেনার ক্রেইগ আরভিন। পরের ওভারে অবশ্য আবার খরুচে বোলিং শরীফুলের, রান দেন ১৩। জিম্বাবুয়ের ব্যাটারদের ওপর বাংলাদেশের বোলারদের আক্রমণ শুরু হয় ম্যাচের পঞ্চম ওভারে।
১৮ মাস পর দলে ফিরে প্রথম ওভারেই উইকেট নেন সাইফউদ্দিন। ১৭ রান করা গাম্বিকে ফেরত পাঠান এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার।
তারপরের আট বল অবশ্য কি হয়েছে তার সঠিক কোন ব্যাখা মনে হয় না জিম্বাবুয়ের কোন খেলোয়াাড় দিতে পারবে। পঞ্চম ওভারে বল হাতে নিয়ে আবার উইকেট পান শেখ মেহেদী। তার ওভারে রান নিতে গিয়ে রানআউট হন ব্রায়ান বেনেত (১৬)। সিকান্দর রাজাকে লিটন দাসের ক্যাচ বানিয়ে মেহেদী তুলে নেন নিজের দ্বিতীয় উইকেট। মেহেদীর মতো তাসকিনও জোড়া উইকেট পান নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে এসে। টানা দুই বলে তিনি নেন শন উইলিয়ামস ও রায়ান বার্লের উইকেট। সফরকারীদের সপ্তম উইকেটটি নেন সাইফউদ্দিন। তাতে ৪১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে রীদিমতো চোখে সর্ষে ফুল দেখা শুরু হয় রোডেশিয়ানদের।
যখন মনে হচ্ছিল নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সর্বনিম্ন স্কোর করবে তারা তখনই ক্লাইভ মাদানদে ও মাসাকাদজা দাড়িয়ে যান। তাদের ৭৫ রানের জুটিতে শতরান পেরোয় জিম্বাবুয়ের। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অষ্টম উইকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি এটি।
সাজঘরে ফেরার আগে ৩৯ বলে ৪৩ রানের ইনিংস খেলেন মাদান্দে। এ ছাড়া ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে ৩৮ বলে ৩৪ রান করেন মাসাকাদজা। অথচ আর কোনো ব্যাটারই এদিন ২০ রানও করতে পারেননি। চার ব্যাটার আউট হন শূন্য রানে।
মন্তব্য করুন