সিলেটে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বড় হারের পর ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ নারী দলের। সেই লক্ষ্যে টস জিতে মোটামুটি লড়াই করার মতো স্কোরও গড়েছিল নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। তবে বৃষ্টি আর ভারতের হেমলতা ম্যাচে ফিরতে দেয়নি বাঘিনীদের।
ম্যাচটিতে বাংলাদেশের ইনিংস চলাকালেই বৃষ্টির হানা ছিল। তবে বাংলাদেশের ইনিংসে কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি সেটি অবশ্য যা ক্ষতি হয়েছে তা ভারতের ইনিংসে বৃষ্টির সময়ই। নির্ধারিত সময় পেরিয়েও ম্যাচ মাঠে না গড়ানোয় বৃষ্টি আইনে পরাজিত হতে হয়েছে মারুফা জ্যোতিদের।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বৃষ্টি আইনে ১৯ রানের হারে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে গেল নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। এর আগে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচেও ৪৪ রানের পরাজিত হয়েছিল মারুফা-জ্যোতিরা।
অবশ্য আর একটু আগে বৃষ্টি বাগড়া দিলে ম্যাচ হারতে হতো না বাংলাদেশের। কারণ ক্রিকেট আইন অনুযায়ী টি-টোয়েন্টি ম্যাচের ফল নির্ধারণে উভয় দলকে কমপক্ষে ৫ ওভার খেলতে হতো। সেখানে বৃষ্টির বাধার আগে ৫.২ ওভার খেলে ফেলে ভারত। তাতে প্রয়োজনীয় রানের তুলনায় বেশ এগিয়ে ছিল তারা। সেজন্য অবশ্য তারা ধন্যবাদ দিতে পারে হেমলতাকে। বৃষ্টিতে ম্যাচ বন্ধ হওয়ার আগে ১২০ রান তাড়া করতে নেমে ৫.২ ওভার শেষে ১ উইকেট হারিয়ে ৪৭ রান সংগ্রহ করে ভারত।
ডিএলএস পদ্ধতিতে এ সময় তাদের দরকার ছিল কেবল ২৮ রান। সেখানে তারা স্কোরকার্ডে ১৯ রান বেশি যোগ করেছিল। যার পুরো কৃতিত্ব হেমলতার। দলীয় ১ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর ক্রিজে নেমেই ব্যাট হাতে ঝড় তুলতে থাকেন তিনি। ২৪ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৪১ রানে। বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে একমাত্র সফল মারুফা আক্তার। ২.২ ওভার বল করে ১১ রান খরচায় তিনি শিকার করেন ভারতের ওপেনার শেফালি ভর্মাকে।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ১১৯ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ৪৯ বলে ৪৬ রান করে ইনিংসের শেষ ওভারে আউট হন মুর্শিদা খাতুন। এছাড়া রিতু মনি ২০ আর সোবানা মোস্তারি ১৯ রান করেছেন। ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন রাধা যাদব।
মন্তব্য করুন