বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগে (আইপিএল) এবারের আসরে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবেই আসর শুরু করেছিল চেন্নাই সুপার কিংস। আসরের প্রথম ছয় ম্যাচের চারটি জিতে প্লে অফ এর দিকে ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিল বাংলাদেশের পেসার মোস্তাফিজুর রহমানের দল। তবে শেষ দুই ম্যাচে হার ধোনির দলটিকে পয়েন্ট টেবিলের পাঁচে নামিয়ে নিয়ে যায়। প্লে অফ পজিশনে ফিরতে তাই জয়ের বিকল্প ছিল না দলটির।
অবশেষে কাঙ্খিত সেই জয় এলো তাও আবার উড়তে থাকা হায়দ্রাবাদের বিরুদ্ধে। চেন্নাইয়ের ঘরের মাঠে এই জয়ে এবারের আইপিএলে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি মোস্তাফিজেরও অবদান আছে। চেন্নাইয়ের ৭৮ গ্রামের বড় জয় মোস্তাফিজের শিকার ২ উইকেট।
রোববার (২৮ এপ্রিল) আইপিএলে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে ৭৮ রানের দাপুটে জয় পেয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। চিপকে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ৩ উইকেটে ২১২ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে তোলে চেন্নাই। জবাবে ৭ বল আগেই ১৩৪ রানে অল আউট হয়ে যায় প্যাট কামিন্সের দল। এই জয়ে পাঁচ নম্বর থেকে টেবিলের তিনে উঠে এলো চেন্নাই। চেন্নাইয়ের বড় এই জয়ের নায়ক অবশ্য মোস্তাফিজ নন, দলের আরেক বলার তুষার দেশপান্ডের বোলিং তোপ ম্যাচটি সহজেই চেন্নাইয়ের হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছে। বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ছন্নছাড়া ছিল হায়দ্রাবাদ । চলতি আসরে ব্যাটে ঝড় তোলা অজি ওপেনার ট্রাভিস হেড ফেরেন মাত্র ১৩ রান করেই। তুষার দেশপান্ডের বলে মিচেল কে ক্যাচ দেন তিনি। পরের বলেই ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার আনমালপ্রীত সিং ফেরেন কোন রান না করেই।
আরেক মারকুটে ওপেনার অভিষেক শর্মাও এদিন ব্যর্থ । তিনিও ফেরেন দেশপান্ডের বলে মিচেলের হাতে ক্যাচ দিয়ে । দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে আর ম্যাচের ফিরতে পারিনি হায়দ্রাবাদ। মাকরাম, ক্লাসেন এবং রেড্ডি চেষ্টা করেও দলকে বেশিদূর নিয়ে যেতে পারেনি। দক্ষিণ আফ্রিকার দুই মারকুটে ব্যাটসম্যান মাকরাম ও ক্লাসেন ফেরেন যথাক্রমে ৩২ ও ২০ রানে। বাকিদের মধ্যে কেউ ক্রিজে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ৭ বলে মাত্র ৫ রান করে ফেরেন। চেন্নাইয়ের এই বড় জয়ের নায়ক বলা যায় নায়ক বলা যায় দেশপান্ডেকে । ৩ ওভার বোলিং করে ২৭ রান দিয়ে তিনি নেন ৪ উইকেট। তার এই দুর্দান্ত বোলিং এর কারনে মোস্তাফিজকে নিজের বোলিং কোটা পূরণ করতে হয়নি। অবশ্য দুর্দান্ত ছিলেন ফিজও। ২.৫ ওভার বোলিং করে ১৯ রান দিয়ে তার প্রাপ্তি ২ উইকেট। পাথিরানার ঝুলিতেও গেছে দুইটি উইকেট। শার্দুল ঠাকুর ও রবীন্দ্র জাদেজা পেয়েছেন একটি করে উইকেট। ধোনির দলের এই বড় জয়ে অবশ্য মিচেলেরও অবদান আছে। কিউই এই ব্যাটার আজকের ম্যাচে নিয়েছেন ৫টি ক্যাচ। এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে অধিনায়ক গায়কোয়াড় ও ড্যারেল মিচেলের ঝড়ে বড় সংগ্রহ পায় ইয়োলো আর্মিরা। শুরুতেই আজিঙ্কা রাহানেকে হারালেও গায়কোয়াড় ও মিচেল মিলে গড়েন ১০৭ রানের জুটি। যেখানে মিচেল ৫২ আর গায়কোয়াড় ৫৪ বলে ৯৮ রানে আউট হন। শেষে শিভাম দুবের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ৩ উইকেটে ২১২ রানের পুঁজি পায় চেন্নাই।
মন্তব্য করুন